দশ দিন পর কমিশন থাকবে না, খুঁজে বের করব, ছেড়ে কথা বলব না, হুঁশিয়ারি মমতার
যাদবপুরের সভায় মমতা বলেন,``আমার খারাপ লাগছে, ৮টা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, কখনও দেখেনি এমনভাবে নির্বাচনে এত টাকা ওড়ে``।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিআইএসএফ-এর গাড়িতে টাকা পাচার করছে বিজেপি। ১০ দিন বাদে কমিশন থাকবে না, যদি দেখি প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকে ছেড়ে কথা বলব না। যাদবপুরের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপি-সিপিএমের সেটিংয়ের অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী।
যাদবপুরের সভায় মমতা বলেন,''আমার খারাপ লাগছে, ৮টা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, কখনও দেখেনি এমনভাবে নির্বাচনে এত টাকা ওড়ে। উত্তর-পূর্বে গিয়ে দেখেছি। বিশ্বাস করুন লজ্জা লাগছে। আমাদের হাত থেকে আইন-শৃঙ্খলা কেড়ে নিয়েছে।
হাওলার টাকা উড়ছে। কলকাতায় লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা উড়ছে। আমার হাতে থাকলে করতে দিতাম না। কোটি কোটি টাকা উড়ছে, এই লজ্জা কোথায় রাখব। একটা পরিবারে পাঁচ হাজার টাকা করে এক একজনকে দিয়ে ভোট কিনছে। এত টাকা উড়ছে কী করে, আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। দেখে দেখে কি পজিশনে নিজের লোক বসিয়েছে। প্রথমবার দেখলাম, কলকাতার পুলিস কমিশনারকে চেঞ্জ করল''।
মমতার অভিযোগ, দমদম বিমানবন্দরে নামছে প্রাইভেট চপার। চেক করা উচিত তো। সিআরপিএফের গাড়িতে টাকা যাচ্ছে বলে শুনছি। এক একটা চুনোপুঁটি নেতাকে দিয়েছে ৬-৮ জন কমান্ডো। আর ৬টা কমান্ডো মানে কয়েক বাক্স টাকা। এই করে ত্রিপুরা কিনে নিয়েছিল, কিন্তু বাংলায় এটা হবে না।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: 'তোমার নাম আমার নাম-ভিয়েতনাম' স্লোগানের রাজ্যেই বিজেপির 'জয় শ্রী রাম'
একইসঙ্গে কারা কারা বিজেপির টাকা নিয়েছে, সেই খোঁজ তিনি রাখছেন বলেও দাবি করেন মমতা। তাঁর হুঁশিয়ারি, যারা যারা টাকা নিয়েছে খুঁজে বের করব। প্রশাসনের কেউ টাকা নিয়ে থাকলে, ছেড়ে কথা বলব না। খোঁজ রাখছি না যদি ভাবেন তাহলে ভুল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষমতা নেই লাঠি চালানোর। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেদের নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়ার কথা বলছে।