নিজস্ব প্রতিবেদন: রাত পোহালেই লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশ। তার আগে ফুরফুরে মেজাজে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখে-মুখে টেনশনের লেশ মাত্র নেই। সিন্থেসাইজারের কি বোর্ডে সুরের মূর্চ্ছনা তুললেন মমতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিয়দংশ বুথফেরত সমীক্ষাতেই বাংলায় পদ্ম ফোটার আভাস দিয়েছে। কেন্দ্রে গেরুয়া ঝড়ের আভাসও দিয়েছে সমীক্ষক সংস্থাগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ফলপ্রকাশের আগে টাকা দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছে বিজেপি। ইভিএম বদল করার পরিকল্পনা করেছে তারা। তার পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে, মমতার আশঙ্কাই বলে দিচ্ছে হারের সংকেত পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ফলপ্রকাশের আগের দিন একেবারে অন্য মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিন্থেসাইজারের কি বোর্ডে তুললেন রবীন্দ্র সংগীতের সুর। তাঁর আঙুলের স্পর্শে বেজে উঠল, প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, মোরে আরো আরো আরো দাও প্রাণ...  


ফেসবুকে সিন্থেসাইজার বাজানোর ভিডিয়োটি পোস্ট করে মমতা লিখেছেন, 'গণনার দিন সন্নিকটে। মাতৃভূমির জন্য প্রার্থনা করছি। মা-মাটি-মানুষকে গানটি উত্সর্গ করছি'।      



শুধু প্রশাসনিক কাজ সামলানোই নয়, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গান ও ছবি আঁকা - সবেতেই পারদর্শী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বহুমুখী প্রতিভার খোঁজ ইতিমধ্যেই পেয়েছেন রাজ্যবাসী। বুধবারই নির্বাচন কমিশনের নাম উল্লেখ না করে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে কবিতা লিখেছেন মমতা। লিখেছেন, 'জরুরী' শীর্ষক কবিতা। 


জরুরী          


সবটাই জরুরী-
কিছু কথা ছিল, 
ওটাও জরুরী। 
মধ্য রাতে সিদ্ধান্ত-
ওটাও জরুরী। 
ভিলেনের মাঠে এ খেলা-
তাতেও জরুরী। 
বিচারে বিধ্বস্ত-
ওটাও জরুরী। 
গণতন্ত্র গুহায়-
ওটাও জরুরী। 
প্রতিবাদ করবে?
না হুজুর-জরুরী। 
মাথা খুটে কাঁদো
অশ্রুতেও জরুরী। 
কি দেখলে নির্বাচন? 
নির্বাসনও কি জরুরী? 


 



 


বলে রাখি, প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই প্রবলভাবে মোদীর ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ভুয়ো এক্সিট পোল ছড়িয়ে বিরোধীদের মনোবল ভাঙতে চাইছে মোদী সরকার। ইভিএম বদলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।


আরও পড়ুন- সভা করতে দেন না মমতা, সেই বাংলায় ইভিএম বদলাবে বিজেপি: কৈলাস