ঈশানদেব চট্টোপাধ্যায়: প্রথা ভেঙে বেনজির সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। এতদিন সভাপতিকে দলের মুখ হিসেবে গণ্য করা হলেও, সূত্রের খবর এবার একই গুরুত্ব পেতে চলেছেন বিরোধী দলনেতাও। সম্ভবত আসন্ন রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে সেই প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে। সেই প্রস্তাব গৃহীত হলে, এ রাজ্যে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মধ্যে গুরুত্বের বিচারে যে কোনও ফারাক থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগামী ২৯ জুন হেস্টিংসে বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপির (BJP) কর্মসমিতির বৈঠক। রাজ্যের শীর্ষ নেতা, বিধায়ক, সাংসদরা ছাড়াও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন সেল, শাখা ও জেলা নেতারাও। সম্ভবত, ওই বৈঠকেই বিরোধী দলনেতার গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব পেশ হবে।  যা সভাপতি নির্ভর বিজেপিতে (BJP) বেনজির বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর সেই প্রস্তাব গৃহীত হলে বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করবে কীভাবে দিলীপ এবং শুভেন্দুকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা যায়। এই  বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক (Rajkamal Pathak) Zee ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, 'এ রাজ্যে বিজেপি আগে কখনও প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। ফলে আগে কখনও বিজেপির কেউ বিরোধী দলনেতাও হয়নি। এবার প্রধান বিরোধী দল হয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস-সিপিএমের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। সেজন্যই এখন বিজেপির দায়িত্ব অনেক বেশি। সেই কথা মাথায় রেখেই হয়ত, সভাপতি এবং বিরোধী দল নেতাকে এক সঙ্গে সামনে রেখে এগোনোর প্রস্তাব আনা হতে পারে।'


আরও পড়ুন: বহু বছর আগেই প্রতারণায় হাতেখড়ি, 'রঞ্জিত মল্লিক'-এর সঙ্গেও জালিয়াতি করেছে দেবাঞ্জন


আরও পড়ুন: টিকা চেয়ে Serum-কে ইমেল, WBFINCORP নামে অ্যাকাউন্ট, প্রকাশ্যে দেবাঞ্জনের রকমারি কীর্তি


 জাতীয় স্তর হোক বা রাজ্য, বিজেপি সাধারণত সভাপতি নির্ভর দল। সর্বদাই রাজনৈতিক কাজকর্মে বিজেপির মুখ দলের সভাপতি। সাংগঠনিক বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শেষ সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রেও আরএসএস (RSS) ঘনিষ্ঠ রাজ্য বিজেপি সভাপতি Dilip Ghosh বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সুনজরে রয়েছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েও বেশ খুশী শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে শুভেন্দুও এ রাজ্য়ে তৃণমূলবিরোধী অন্যতম প্রধান মুখ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং অমিত শাহও (HM Amit Shah) যে তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা শুভেন্দুর সাম্প্রতিক দিল্লি সফর থেকেই স্পষ্ট। ফলে এই দুই অস্ত্রে শান দিয়েই মমতার বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাটাকে যেতে চাইছে গেরুয়া শিবির।