`আই অ্যাম প্লে-বয় অফ পলিটিক্স`, তথাগতকে পাল্টা জবাব Madan Mitra-র
`প্লে-বয় হওয়ার সুযোগ তো আপনারও ছিল, হয়েওছেন`।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'প্লে-বয় হওয়ার সুযোগ তো আপনারও ছিল, হয়েওছেন'। বিজেপি নেতা তথাগত রায়কে এবার পাল্টা খোঁচা দিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। বললেন, 'আমি যদি প্লে-বয় হই, তাহলে I am a playboy of politics। কথা দিচ্ছি, পরের বার যখন যাব, আপনাকেও নৌকায় ডেকে নেব। অবশ্যই আপনার জন্য একটা ভালো জায়গা রাখব'।
একুশের ভোটে ভরাডুবির পর শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, পার্নো মিত্রদের মতো রূপোলি পর্দার নায়িকাদের প্রার্থী করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তোপ দেগেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও। তাঁর টুইট, 'পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি'? প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, পার্নো মিত্রদের মতো তারকাদের টিকিট দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিল গেরুয়াশিবিরের অন্দরে। ভোটে শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছেন তাঁরা সকলেই।
তথাগত রায়ের টুইটের জবাবে এবার পাল্টা মুখ খুললেন মদন মিত্র। তাঁর কথায়, 'যাঁদের নটি-নর্তকী বলছেন, তাঁরা আপনার দলের। এটা কী ঠিক করছেন? আমি এঁদের নটি-নর্তকী বলব না। এরা তো বাংলার মেয়ে, বহিরাগত নয়। কালকে আবার ওদের সঙ্গে গল্প করব'। এরপর মদনের মন্তব্য, ' 'আমি যদি প্লে-বয় হই, তাহলে I am a playboy of politics। কথা দিচ্ছি, পরের বার যখন যাব, আপনাকেও নৌকায় ডেকে নেব। অবশ্যই আপনার জন্য একটা ভালো জায়গা রাখব'।
আরও পড়ুন: মমতার শপথে গেস্ট-লিস্টে নাম সৌরভেরও!
বিতর্কের সূত্রপাত দোলের সময়। একটি সংবাদ চ্যানেলের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীর মতো বিজেপির তারকা প্রার্থীরা। সেই অনুষ্ঠানে মদন মিত্রদের জন্য 'খেলা হবে' গানটি যেমন বেজেছে, তেমনই শ্রাবন্তীদের জন্য বেজেছে 'রং দে তু মোহে গেরুয়া'। সঙ্গে বেজেছে মদন মিত্রের নিজের লেখা 'মোদী-শাহ কুমড়োর ঘ্যাঁট খা'। দোল উৎসবের এই ছবিই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচনার মুখে পড়ে কার্যত ক্ষমাও চেয়েছিলেন বেহালার দুই বিজেপি প্রার্থী শ্রীবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও পায়েল সরকার। তাঁদের কথায়, অনুষ্ঠানে কোনও রাজনীতির রং ছিল না, এটা ছিল নেহাতই রঙের উৎসব।