ওয়েব ডেস্ক : "মদন মিত্র আর প্রভাবশালী নন!'' কার্যত এই মর্মেই ২২ মাস পর ৩০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিল পেলেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। আজ কলকাতার আলিপুর আদালতে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। সারদা মামলায় ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। তিনি জেলে ছিলেন ৬৩৪ দিন। মাঝে ১ দিনের জন্য জামিনে মুক্তি পেলেও ফের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের তাঁকে ফের জেলে ফিরতে হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল প্রায় সাত মাস পর ফের আলিপুর আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার মদন মিত্রর জামিনের আর্জি খারিজ হয়। গতকাল মামলার শুনানির শুরুতেই মদন মিত্রর আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন, তাঁর মক্কেল এখন মন্ত্রী-বিধায়ক কিছুই নন। তাঁকে প্রভাবশালী বলা যায় না। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। বিধানসভা ভোটে মদন মিত্রের হারের জন্য সিবিআইকেই দায়ি করেন তাঁর আইনজীবী। উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী K রাঘবচারুলু বলেন, হাতি অত্যন্ত বলবান।


মরে গেলেও তার দাম কমে না। কেউটে মরে গেলে পিঁপড়ে খুবলে খায় বটে, কিন্তু কেউটে, কেউটেই। মদন মিত্র মন্ত্রী বা বিধায়ক না হলেও এখনও তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সাক্ষীকে ভয় দেখানোর ক্ষমতা তাঁর কমেনি।  আগে বিচারকও মদন মিত্রের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। সিবিআই এখনও মদনের গা থেকে প্রভাবশালী তকমা মুছতে নারাজ।


আজ মামলার শুরু থেকেই CBI-এর তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিচারক। এরপরই নানা তথ্য প্রমাণ বিচার করে তাঁকে জামিনে মুক্তি করা হয়। মুক্তি পেলেও, প্রতি সপ্তাহেই তাঁকে একবার করে CBI-এর কাছে হাজিরা দিতে হবে। সেই সঙ্গে জমা রাখতে হবে পাসপোর্টও।