ওয়েব ডেস্ক: কাল সিংহম। আজ সিনেই নেই। অ্যাপোলো বিতর্কের রঙ্গমঞ্চে মদন মিত্রের প্রবেশ আর প্রস্থান যেন ধুমকেতুর মতো! মন্ত্রী নন। বিধায়কও নন। দলের কোনও পদে নেই। তারপরেও মদন মিত্রর এই বিক্রম দেখে চমকে যান অনেকেই। তাহলে কী পুরনো ফর্মে ফিরছেন ভবানীপুরের দাদা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার দুপুর থেকে রাতের প্রাইম টাইম, শুক্রবার দিনভর স্পট লাইটে ছিলেন ওয়ান অ্যান্ড ওনলি মদন মিত্র। বহুদিন বাদে পুরনো মেজাজে টিভির পর্দায়। টকশোয়ে যখন বসলেন, পিছনে জ্বলজ্বল করছে দলনেত্রীর ছবি। কিন্তু এক রাতে বদলে গেল সিকোয়েন্স। শনিবার সিনেই নেই মদন মিত্র!


শুক্রবার ২৪ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে মদন মিত্র জানান, শনিবার মৃত সঞ্জয় রায়ের ডানকুনির বাড়িতে যাবেন তিনি। কথা বলবেন পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু মদন মিত্র এদিন সঞ্জয়ের বাড়ি যাননি। উল্টে সঞ্জয়ের পরিবার ডানকুনি থেকে আসে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে।


আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি মদনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে তৃণমূল? শুক্রবার সঞ্জয়ের মৃত্যুর কথা শুনে SSKM এর চেনা কম্পাউন্ডে হঠাত উদয় হন মদন। অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষকে ফোনে ধমক দেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন ভাইরাল, তৃণমূল তখনও ছিল নীরব। যে ঘটনাকে আঁকড়ে দাদা পুরনো ফর্মে ফিরছিলেন, শনিবার কার্যত সেটাই হাইজ্যাক হয়ে গেল।


মন্ত্রীত্বে থাকাকালীন SSKM এর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন মদন মিত্র। সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর ওই পদ ছাড়তে হয় তাঁকে। প্রথমে ফিরহাদ হাকিম, পরে অরূপ বিশ্বাসকে পিজির রোগী কল্যাণ সমিতির প্রধান করা হয়।


আরও পড়ুন


৩৩৩ রানের বিরাট ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল বিরাটের ভারত



৬ মাস আগে যিনি সারদা মামলায় জামিন পেয়েছেন, এখনও যাঁকে নিয়ম করে সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে হয়, তাঁর এই ঔদ্ধত্য দল যে মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না, তৃণমূলের নীরবতায় তা স্পষ্ট।


SSKM এর মতো হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মদনের হুঁশিয়ারি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। প্রশাসনের উর্ধ্বে গিয়ে তিনি এভাবে বেসরকারি হাসপাতালকে ধমকানোর কে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাহলে কি পাত্তা না দিয়েই মদনকে ঠান্ডা করার কৌশল নিল তৃণমূল? আর হাওয়া বুঝেই কি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবারের সিংহম দাদা শনিবার এক্কেবারে শান্তম?