মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের `চিপ ব্যবস্থা` কি শুধুই `আইওয়াশ`?
ময়নাগুড়ি কাণ্ডের পর প্রশ্নের মুখে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ব্যবস্থা। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সাংবাদিক বৈঠকে বোর্ড সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এবার মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে এমন ব্যবস্থা থাকবে যে, কেউ সময়ের আগে প্যাকেট খুলে ফেললেই তা জেনে যাবে পর্ষদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ময়নাগুড়ি কাণ্ডের পর প্রশ্নের মুখে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ব্যবস্থা। মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সাংবাদিক বৈঠকে বোর্ড সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, এবার মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে এমন ব্যবস্থা থাকবে যে, কেউ সময়ের আগে প্যাকেট খুলে ফেললেই তা জেনে যাবে পর্ষদ।
তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের গায়ে থাকবে চিপ। কেউ সময়ের আগে প্যাকেট খুলে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে পর্ষদের কাছে মেসেজ যাবে। পর্ষদ জানতে পেরে যাবে যে, কোথায় প্যাকেট খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ময়নাগুড়ি প্রশ্নফাঁস বিতর্ক, দুর্নীতি ফাঁস করে পাল্টা শাস্তির মুখে স্কুল পরিদর্শক?
ময়নাগুড়ি কাণ্ডের পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শিক্ষামহলের একাংশ। তাঁদের স্পষ্ট জিজ্ঞাসা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের 'চিপ ব্যবস্থা'র পরেও কেন ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা আগাম জানতে পারল না পর্ষদ? আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই কার্যত 'কেঁচো খুঁড়তে কেউটে' বেরিয়ে এসেছে।
জানা গেছে, পর্ষদ থেকে যে বড় প্যাকেটে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিকের প্রশ্ন যায়, তাতে কোনও চিপ ছিল না। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার পর বিভিন্ন ঘরে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ছোট ছোট প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল, তাতে ওই চিপ ছিল। আর এরপরই উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীরে এইচআইভি! কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল
বড় প্যাকেটের গায়ে কোনও চিপ না থাকায় পুরো বিষয়টাই কার্যত 'আইওয়াশ' বলে দাবি করেছেন শিক্ষামহলের একাংশ। কারণ তাঁদের যুক্তি, বড় প্যাকেটের গায়ে কোনও চিপ না থাকায়, ওই প্যাকেটটি কেউ সময়ের আগে খুলেছেন কিনা, তা কোনওভাবেই জানা সম্ভব নয় বোর্ডের।
আরও পড়ুন, মেলেনি ফর্মালিন, কলকাতার চিকেনপ্রেমীদের জন্য সুখবর
উল্লেখ্য, সেন্টার ইন চার্জ ও অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজারের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্রের ওই বড় প্যাকেটটি বাধ্যতামূলকভাবে খোলার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ময়নাগুড়ি সুভাষনগর হাইস্কুলে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময় অ্যাডিশনাল ভেন্যু সুপারভাইজার ছিলেন অনুপস্থিত। তাঁকে পান আনতে পাঠিয়েছিলেন প্রধানশিক্ষক হরিদয়াল রায়।