নিজস্ব প্রতিবেদন: মগরাহাটে সিভিক ভলেন্টিয়ার-সহ দু'জনের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা। রবিবার গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় দক্ষিণ কলকাতার একটি জায়গা থেকে জানে আলমকে গ্রেফতার করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল মগরাহাটের ওই ঘটনার পরই গা ঢাকা দেয় জানে আলম। তার খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিস। খবর আসে কলকায়ায় লুকিয়ে রয়েছে সে। তার মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করেই তার সন্ধান পেয়ে যায় পুলিস। আজ দক্ষিণ কলকাতার টালিগ়্জের ওই ডেরা থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তখনই তাকে ধরে ফেলে পুলিস।


পুলিস সূত্রে খবর, ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিসের একটি বিশেষ দল জানে আলমকে খুঁজে বের করে ও তাদের গ্রেফতার করে। তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিসের সদর দফতরে। সেখানেই তাকে জেরা করা হবে। 


শনিবার সকালে মগরাহাটের আমড়াতলা এলাকায় একটি কারখানার মধ্যে থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাখাল নামে দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই দুই যুবকের খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এই জানে আলম মোল্লা। তার কারখানাতেই উদ্ধার হয় ওই ২ মৃতদেহ।


একাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করত জানে আলম। সেগুলি সুইচড অফ করে রাখে সে। আজ অন্য একজনের মোবাইল থেকে পরিবারের একজনের সঙ্গে সে কথা বলে। সেই ফোন ট্য়াপ করেই পুলিস জানতে পারে কলকাতার ডেরা থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে যাচ্ছে সে। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিস। পাশাপাশি যে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল সেটি ট্র্যাক করা হয় তার মোবাইল লোকেশন দেখে। তার গাড়ি নিয়ে পালানোর ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিবি ফুটেজে।


শনিবার সকালে বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাখালের মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিসের দাবি ছিল, ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহ নিয়ে অশান্তি। যে কারখানা থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হয় সেটি জানে আলম মোল্লা নামে এক ব্যবসায়ীর। জানে আলম মোল্লা কম দামে ইমারতি মাল সাপ্লাই করার আশ্বাস দেয়। আগাম টাকাও নিয়ে নেয়। কিছুতেই মাল না দেওয়ায় কাল রাতে এক দফা অশান্তি হয়। জানে আলম বলে, আজ সকালে আমড়াতলায় হাড়ের কারখানায় আসতে। টাকা দেবে। কিন্তু টাকা সে দেয় না। এনিয়ে তুমুল ঝগড়া হয় বরুণ চক্রবতী ও মলয় মাখালের সঙ্গে। তারপরই নৃশংস ভাবে প্রথমে ধারাল অস্ত্র দিয়ে নলি কেটে এবং পরে গুলি চালিয়ে দুজনকে খুন করে জানে আলম। 


মৃত বরুণ চক্রবর্তী, পেশায় মগরাহাট থানার সিভিক পুলিস। তার বাড়ির লোকের দাবি, এই এলাকায় জানে আলম অবৈধভাবে পশুর হাড়ের কারখানা চালাত। হাড় থেকে সার তৈরি হত। সেই পচা হাড়ের দুর্গন্ধে মাগুরপুকুর গ্রামের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। এনিয়ে বরুণ একাধিকবার জানে আলমকে সতর্ক করে। এতে কর্ণপাত করা হয়নি। এরপর আজ বন্ধু মলয়কে নিয়ে বরুণ হাড়ের কারখানায় আসে। সকাল নটায় জানে আলমের সঙ্গে হাড়ের দুর্গন্ধ নিয়ে তীব্র বচসা হয়। এর জেরে কারখানার একটা ঘরে দুজনকে ঢুকিয়ে বন্ধ করে, খুন করে জানে আলম। 


মলয় মাখালের বাড়ির লোকের বক্তব্য, হাড়ের কারবার ফাঁদার আগে জানে আলম (একসময়ের চিটফান্ড মামলায় অভিযুক্ত) মুদিখানা দোকান চালাত। তখন মলয়ের সঙ্গে তার লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়। সেই টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বিবাদ। সেই টাকা দিতে কারখানায় ডাকা হয়। তারপর অশান্তি ও উত্তেজনার বশে খুন। 


আরও পড়ুন-বকেয়া টাকা ফেরতের নামে ডেকে এনে মগরাহাটে জোড়া খুন, নেপথ্যে ইমরতি ব্যবসায়ী!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)