কলকাতা: বাক্যগুলো সব পাল্টে যাচ্ছে। মহাশ্বেতা দেবী 'হলেন'-এর পরিবর্তে লিখতে হচ্ছে ছিলেন। উইকিপিডিয়াতেও কেউ একজন সব 'ইজ'(Is)-গুলোকে কেটে 'ওয়াজ'(Was) করতে ব্যস্ত। একটা দিন আগেও কেবল মহাশ্বেতার দেবীর জন্ম তারিখটাই ছিল। যুক্ত হল ২০১৬, ২৮ জুলাই। মহাপ্রয়াণ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেল ভিউর সেই কেবিন এখনও মহাশ্বেতাময়। ২৪ ঘন্টাও হয়নি ওই কেবিনের বিছানায়া মহাশ্বেতা দেবী চোখ বুজেছেন। চিরতরে ঘুমিয়ে থাকার জন্যই চোখ বুজেছেন হাজার চুরাশির 'মা'। বৃহস্পতিবার ৯০ বসন্ত পেরিয়ে মহাশ্বেতা দেবী চললেন 'দিকশূন্যপুরের পথে'। ছেলেকে হারিয়েছিলেন জুলাই ৩১, ২০১৪। ২০১৬, ২৮ জুলাই ছেলে নবারুণ ভট্টাচার্য যে দিকে পৌঁছে গিয়েছেন আগেই সেই পথেই যাত্রা শুরু করেলন মা মহাশ্বেতা। 


'মা' হারালো বাংলা। 'অভিভাবক হারালাম', শোকজ্ঞাপনে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্মৃতিচারণায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, "আমার এখনও মনে পড়ছে, আমার মা মারা যাওয়ার পর প্রায়ই ফোন করতেন, বলতেন খেয়েছিস"। মমতা বন্দোপাধ্যায় মহাশ্বেতা দেবীর শেষ জন্মদিন পালন করেছিলেন হাসপাতালেই। ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬। অধুনা বাংলাদেশের ঢাকায় ১৯২৬ সালে জন্ম হয়েছিল মহাশ্বেতা দেবীর। কাকা ছিলেন প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক ঋত্বিক কুমার ঘটক।  


একে একে স্বাধীনতা, বাংলার নকশাল আন্দোলন, পরিবর্তন সব কিছুর সাক্ষী থেকেছেন তিনি। বয়স যেমন বেড়েছে, বেড়েছে যন্ত্রনাও। স্বামী বিজন ভট্টাচার্য, ছেলে নবারুণ ভট্টাচার্য মৃত্যুসজ্জায় শায়িত হয়েছেন আগেই এবার তিনি নিজেই শেষ সজ্জায়। শেষ ২১ শে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের 'শহিদ দিবসে'ও আসেননি। মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেছেন, ইচ্ছে ছিল দিল্লির মসনদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার। কিন্তু হল না। বাঁচতে চেয়েও জীবনের কাছে জিতল মৃত্যু। বিদায় নিলেন মহাশ্বেতা দেবী