নিজস্ব প্রতিবেদন: দমদমে প্রোমোটারকে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত সুজিত  ওরফে বাবু মণ্ডল।  দমদম থানার প্রমোদনগর থেকে গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি, মাদক রাখার অভিযোদে বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ২৭ অক্টোবর দমদম পার্কে দিন দুপুরে নির্মীয়মাণ বাড়িতে ঢুকে গুলি করা হয় প্রোমোটার শেখর পোদ্দারকে।  অভিযোগ তোলাবাজির টাকা না পেয়েই হামলা চালায় বাবু।


জানা গিয়েছে, দমদম পার্কে নির্মীয়মান এক বহুতলের সামনে এদিন সকালে গুলি চলে। বাইকে চড়ে আসে দুষ্কৃতীদল। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকেরই মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। খুব কাছ থেকে প্রোমোটার শেখর পোদ্দারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। তারপরই বাইক ছুটিয়ে চম্পট দেয়। গুলি লাগে শেখর পোদ্দারের ডান হাতে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন শেখর পোদ্দার। গুলি চলার আওয়াজ শুনেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রোমোটারকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


দমদম পার্ক গুলিকান্ডে মূল অভিযুক্ত বাবু নায়েকের দাদা রাজেশ জেলবন্দি। অভিযোগ জেল থেকেই এলাকায় তোলাবাজি, হুমকি সবই দাপিয়ে চালাচ্ছে রাজেশ। 


আরও পড়ুন: দমদম পার্কে শুটআউটকাণ্ডে সুপারি কিলার যোগ!


 বাবু ও রাজেশের ঘনিষ্ঠ শানু নায়েককে আটক করে পুলিস। শানু তাদের হয়েই কাজ করত বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ প্রোমোটার শেখর পোদ্দারের কাছ থেকে শানু সম্পর্কে তথ্য পায় পুলিস। তদন্তে নেমে বাগুইআটি, কেষ্টপুর ও দমদম পার্কের হরিজন পল্লিতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। বাবু নায়েক ও তার আত্মীয়রা থাকে  এসব জায়গাতেই থাকে। 


নায়েক বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু। লেকটাউন থানায় বাবু নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে গুলিবিদ্ধ প্রোমোটারের পার্টনার চিরদীপ রায়।  অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস।