নিজস্ব প্রতিবেদন: রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই ভেঙে পড়েছে মাঝেরহাট সেতু। রেল নয়, এবার একথা জানাল কলকাতা পুলিসের ফরেন্সিক বিভাগ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ফাটল সময়মতো মেরামত না-হওয়ায় ক্রমাগত চুঁইয়ে ঢুকেছে জল। সেই জলে মরচে পড়ে দুর্বল হয়ে গিয়েছে ভিতরে থাকা লোহার রডগুলি। যার ফলে ভেঙে পড়েছে সেতুর ৩৫ মিটার একটি অংশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মঙ্গলবার ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। মৃত্যু হয় ৩ জনের। ঘটনায় পূর্ববর্তী সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, আমাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই সব আগের আমলে হয়েছে। এর পরই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। সোমবার ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন করে ফরেন্সিক দল। তাদের রিপোর্ট বলছে। রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির জেরেই ভেঙে পড়েছে সেতু। রিপোর্টে বলা হয়েছে। নিয়ম মেনে যে মেরামতি করা উচিত সেটুকু করলেও ভাঙত না সেতু। কিন্তু সেটুকুও হয়নি। ফলে কংক্রিটের ফাটল দিয়ে লাগাতার ঢুকেছে জল। সেই জেলেই মরচে পড়েছে গার্ডারের ভিতরে থাকা লোহার রডে। যার জেরে ভেঙে পড়েছে সেতু। 


একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী খাড়া করা মেট্রোর গর্ত খোড়ার তত্ত্বও খারিজ করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। জানিয়েছেন, দেড় বছর ধরে মেট্রো ওই এলাকায় কোনও খনন চালায়নি। ফলে সেতু ভেঙে পড়ার সঙ্গে মেট্রোর খননের কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও সেতু ভেঙে পড়ার পর গত বুধবার থেকে বন্ধ জোকা মেট্রোর মাঝেরহাট স্টেশন তৈরির কাজ। 


লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মমতার মুসলিম তোষণ ও স্বৈরাচারকে হাতিয়ার করতে বলল RSS


সোমবার প্রায় ২.৩০ মিনিট ধরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এদিনের তদন্তকারী দলে যাঁরা ছিলেন তাঁরা অনেকেই ছিলেন বিবেকানন্দ উড়ালপুল দুর্ঘটনার তদন্তেও। 


তবে সেতুর বাকি অংশ মজবুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ফরেন্সিক দলের তরফে জানানো হয়েছে, বাকি সেতু অন্তত ৫০ বছর হেসে খেলে টিকে যাবে।