নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট উড়ালপুল দুর্ঘটনার দায় যে রাজ্য সরকারের তা গত কালই মেনে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতে চিহ্নিত করা হল ওই কাণ্ডে দোষী ৮ জন ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিককে। অভিযোগ, এদের গাফিলতিতেই মেরামতি হয়নি মাঝেরহাট সেতুর। যার ফলে গিয়েছে ৩টি প্রাণ। অনির্দিষ্টকালের জন্য কলকাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বেহালা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতুর একটি অংশ। প্রাথমিকভাবে দায় মেট্রো রেলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে গিয়েও ওই এলাকায় জোকা - বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পের কাজের জেরে ঝাঁকুনিতে সেতু ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার তদন্তে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কমিটির তদন্তের উঠে আসে, পূর্ত দফতরের গাফিলতিতেই ভেঙে পড়েছে সেতু। শুক্রবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর রাজ্যের গাফিলতির কথা স্বীকারও করে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, ফাইল চালাচালিতে দেরি হওয়ায় সময়মতো মেরামত হয়নি সেতু। 


তদন্তে উঠে আসে পূর্ত দফতরের কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারের গাফিলতি ও অর্থ দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের অবহেলায় ঘটেছে এই কাণ্ড। পূর্ত দফতরের ৫ ইঞ্জিনিয়ার ও অর্থ দফতরের ৩ আধিকারিককে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ২০১৬-সাল থেকে সেতু সংস্কারের জন্য বরাদ্দের আবেদন করেও মেলেনি। 



গাফিলতি পূর্ত দফতরের, পুরনো ব্রিজ ভেঙে ১ বছরে নতুন মাঝেরহাট ব্রিজ : মুখ্যমন্ত্রী


অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, বার বার বলা সত্বেও অর্থ দফতরের ওই আধিকারিকরা অর্থ মঞ্জুর করেননি। কাজ আটকে থাকলেও কেন তাঁরা বিভাগীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের গোচরে বিষয়টি আনেননি তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ওই ইঞ্জিনিয়াররা। 


মাঝেরহাট উড়ালপুল বিপর্যয়ে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। কোনও উপায়েই দায় এড়াতে না পারায় অবশেষে কোপ পড়তে চলেছে সরকারি আধিকারিকদের ওপর। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এত বড় বিপর্যয়ের দায় কী করে এড়াতে পারেন পূর্তমন্ত্রী?