নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাটের সেতুর বিপর্যয়ের পর বুধবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মেট্রোর পাইলিংয়ের কাজে এলাকায় কম্পন হত। এলাকাবাসীরাই জানিয়েছেন, মেট্রোর কাজ চলার সময়ে যেন ভূমিকম্প হত। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আপাতত বন্ধ থাকবে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর প্রকল্পের কাজ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেতু বিপর্যয়ের ধাক্কায় থমকে গেল জোকা-বিবাদি মেট্রোর কাজ। মুখ্য সচিবের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মেট্রোর কাজ। নবান্নে বৈঠকের পর জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, ''মেট্রোর কাজের জন্য অনেকটা সমস্যা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যাচাই করে দেখবেন মুখ্যসচিব। তারপর মেট্রোর কাজ শুরু হবে''।      


দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারে মমতা তখন রেলমন্ত্রী। শহর ও শহরতলিতে আজ যতগুলি মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে, সবই মমতার ব্রেন চাইল্ড। জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পও তেমনই। ২০১১ সালে শুরু হয় জোকা -বিবাদী বাগ মেট্রোর কাজ।


তার আগে নিয়ম অনুযায়ী পূর্ত দফতরের কাছ থেকে কাজ শুরুর ছাড়পত্রও  নেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এনওসি দিয়ে কাজ শুরুর গ্রিন সিগন্যাল দেয় পূর্ত দফতর।


মাঝে জমি জটে বেশকয়েকবার থমকেছে কাজ। তখনও ত্রাতার ভূমিকায়  মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই জমি জট কাটিয়ে শুরু হয় জোকা-বিবাদী মেট্রোর কাজ। কিন্তু, ব্রিজ বিপর্যয়ের পর আপাতত তাতে দাঁড়ি পড়ল।


মেট্রো কাজ বন্ধের জন্য বিরোধীরা নিশানা করছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাদের দাবি, নিজের গাফিলতি ঢাকতে মেট্রোকে কাঠগড়ায় তুলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, দুর্ঘটনায় নিজেদের ত্রুটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।


প্রশ্ন উঠছে মেট্রোকে কাজের অনুমতি দেওয়ার আগে কেন খতিয়ে দেখেনি পূর্ত দফতর?


আরও পড়ুন- কেমন আছে চেতলা-লোহা ব্রিজ? সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী