ওয়েব ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদী সরকার ও আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মধ্যে বিরোধে কেজরির পাশেই দাঁড়ালেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। তবে একে অপরকে সম্মান করা উচিত। আজ দিল্লিতে কেজরির বাসভবনে যান মমতা। সেখানে দুজনের মধ্যে প্রায় একঘণ্টা কথা হয়। পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে আপকেই সমর্থন করবে তৃণমূল , জানিয়েছেন মমতা। একইসঙ্গে তিনি জানান, কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে। দেশের ফেডেরাল কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য এক সঙ্গে কাজ করবেন তাঁরা। এদিকে আজই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে  সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ জানিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ঋণ মকুব, বন্ধ কেন্দ্রীয় অনুদান  চালু সহ একগুচ্ছ দাবি রাখলেন মোদীর সামনে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২১-এর মঞ্চ থেকেই, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন মমতা। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সামনে রেখে যে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বুধবার সংসদভবনে একই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে। 


মোদীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল একাধিক। তিনি বলেন, 


দাবি ১
ঋণের জালে ক্রমশ আটকে পড়ছে রাজ্যগুলি। বাম সরকারের ঋণ শোধ করতে হচ্ছে তাঁকে। এভাবে আর সরকার চালানো সম্ভব না। কীভাবে  ঋণের জাল থেকে মুক্তি মেলে, সেই পলিসি ঘোষণা করতে হবে কেন্দ্রকে।


দাবি ২
পশ্চিমবঙ্গেই ছত্রিশটির বেশি কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নব্বই শতাংশ টাকাই এখন দিতে হয় রাজ্যকে। এটা চলতে পারে না। কোনও প্রকল্প বন্ধ করা চলবে না।


দাবি ৩ 
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে। রাজ্যকে ভাতে মেরে কেন্দ্র ভাল থাকতে পারে না। এনিয়ে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র।


দাবি ৪
সংখ্যালঘুদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ডকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে অনেকেরই এখনও আধার কার্ড তৈরিই হয়নি।
 


বন্যাত্রাণের অর্থ নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে অভিযোগ জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, গতবছর বন্যার পর ত্রাণের জন্য কেন্দ্রের কাছে আট হাজার সাতশো একষট্টি কোটি টাকার  দাবি জানায় রাজ্য। কেন্দ্র ৭,৩৫৪ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য পেয়েছে মাত্র ৬৭৭ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি এবারও বেশ জটিল আকার ধারণ করছে। কেন্দ্র যাতে অবিলম্বে টাকা দিয়ে দেয়, সেই দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।  


প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেও একই দাবি জানিয়ে আসেন তিনি। দুপুরে জেটলির বাড়িতে লাঞ্চ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে, মঙ্গলবারই নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।