জেভিয়ার্সে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে খোঁচা মমতার
এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া যাতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও করতে হবে বলে জানান মমতা।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়
সেন্ট জেভিয়ার্সে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুরকে আরও মুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,''প্রেসিডেন্ট ও জেভিয়ার্সকে শিক্ষা হাব করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু যাদবপুরের সমস্যা রয়েছে''। দর্শকাসনে থাকা যাদবপুরের উপাচার্যের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''যাদবপুর কাউকে ডাকে না। এমনকি রাজ্যপাল গেলেও বয়কট করেন পড়ুয়ারা। যাদবপুরের হৃদয় আরও বড় করতে হবে''। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া যাতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করতে পারেন, তার ব্যবস্থাও করতে হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন জেভিয়ার্সের আগে পার্কস্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে বড়দিনের অনুষ্ঠানের সূচনায় হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''আমি চিন্তিত। সাধারণের কম্পিউটারে নজরদারি চালানো হবে। ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যবসায়িক তথ্য কি দিয়ে দেবেন? কারও কি ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকবে না?'' অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিও করেছেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, ''ধর্ম আলাদা হলেও উত্সব সবার। বাংলা এমন রাজ্য যেখানে ভেদাভেদ হয় না''।
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা ঘিরে তুমুল বিতণ্ডা শুরু হয় রাজ্যসভায়। চেঁচামেচি শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। জেটলির দাবি, ২০০৯ সালে মনমোহন সিং জমানার নির্দেশিকাটি ফের জারি করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলছে কংগ্রেস। অযথা তিলকে তাল করছে তারা। জেটলির দাবি মিথ্যা বলে পাল্টা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,''অরুণ জেটলি ঠিক বলছেন না। ২০০৯ সালে আলাদা পরিস্থিতি ছিল। আমরা এখন পরাধীন হচ্ছি''।
আরও পড়ুন- ব্যক্তিগত কম্পিউটারে গোয়েন্দা নজরদারি নির্দেশিকার প্রত্যাহারের দাবি মমতার