নিজস্ব প্রতিবেদন : "আপনার কাছ থেকে সবরকম সহযোগিতা পাচ্ছি। কিন্তু আমাদের রাজ্যেই সাংবিধানিক পদে এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁরা প্রতিদিন আমাদের উত্যক্ত করছেন। সাংবিধানিক পদে বসে রাজ্যকে অসহযোগিতা করছেন, উত্যক্ত করছেন।" ঠিক এই ভাষাতেই এদিন নাম না করে রাজ্যপালের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে নালিশ ঠুকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লি, মুম্বই, কলকাতায় করোনার বাড় বাড়ন্ত। কোনওভাবেই যেন রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণ। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সম্পর্কে মোদীর কাছে নালিশ ঠোকেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু এটাই নয়, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পাওনার প্রসঙ্গও তোলেন। বলেন, "করোনা ও আমফান নিয়ে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আমফানের পর এসে প্রধানমন্ত্রী একবারই ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর এক পয়সাও রাজ্যকে দেওয়া হয়নি। এদিকে বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়ে গিয়েছে।"


আরও বলেন, "বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। শুধু জিএসটি বাবদই এপ্রিল-মে মাসে ৪,১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া আছে। এই পরিস্থিতিতে বকেয়ার টাকা যদি আমাদের একটু একটু করে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সুবিধা হয়। কারণ, করোনার জন্য রাজ্যের আয় বলতে কিছু-ই নেই। আয় কমে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে তাই অনুরোধ করছি, টাকাগুলো দিয়ে দেওয়া হোক।" ঘটনাক্রমে বৈঠকের ঘণ্টা দেড়েক বাদেই অর্থমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়।



ওই বিবৃতিতে বলা হয় যে, "২০১৯-২০ আর্থিক বছরের সম্পূর্ণ বকেয়া রাজ্যগুলোকে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে ৬,২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।" যার পাল্টা জবাব দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, "মুখ্যমন্ত্রী তো এপ্রিল-মে মাসের টাকা চেয়েছেন। ওরা হঠাৎ গত আর্থিক বছরের হিসেব এখন দিচ্ছে কেন?" সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের শুরুতে সহযোগিতার বার্তা থাকলেও, বকেয়া-পাওনাকে কেন্দ্র করে শেষপর্যন্ত তার তাল কাটল এটা বলাই যায়! 


আরও পড়ুন, আক্রান্ত করোনা যোদ্ধা! রোগীর মৃত্যু হতেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঢুকে নার্স পেটাল বাড়ির লোক