ওয়েব ডেস্ক: জনগণের হয়রানির প্রতিবাদে একযোগে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাবরের শত্রু সিপিএমকেও অচ্ছুত করে রাখেননি। কিন্তু সরাসরি জবাব দেয়নি সিপিএম। আপাতত নোট কাণ্ডে সংসদে আক্রমণের পথে যেতে যায় লালব্রিগেড। কিন্তু তারপর? মমতার উদ্যোগে যে বিজেপি বিরোধী মঞ্চ ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে, তা থেকে কতদিন দুরে থাকবে সিপিএম?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আচমকা বাতিল পাঁচশো, হাজারের নোট। নতুন নোটের অভাব আর খুচরোর সঙ্কটে আম আদমির ভোগান্তি চরমে।


জনগণের ভোগান্তির প্রতিবাদে শুরু থেকেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়। এই ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে বিরোধী শিবির একজোট করতে তত্‍পর মমতা। জনগণের স্বার্থে আন্দোলনে চিরশত্রু সিপিএমও যে ব্রাত্য নয়, সেই বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।


কিন্তু তৃণমূলনেত্রীর আহ্বানে এখনও সাড়া দেয়নি সিপিএম। রাজ্য নেতৃত্ব আগেই তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে আন্দোলনে আপত্তি জানিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নোট কাণ্ডে কেন্দ্র বিরোধী হাওয়া কাজে লাগিয়ে অবিজেপি দলগুলির মঞ্চ গড়ার কাজ ফের গতি পেয়েছে।বিরোধী জোট থেকে সরে থাকলে সমস্যা দলেরই।


বৃন্দা কারাট এক পা এগোলেও, সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সঙ্গে একজোটে আন্দোলনের প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান সীতারাম ইয়েচুরি। সোমবার বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডাকেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। বৈঠকে ছিলেন যোগ দেন তৃণমূল, সিপিএম, জেডিইউ, আরজেডি এবং আপের প্রতিনিধিরা। নোট কাণ্ডে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছে বিরোধী দলগুলি। মমতার ডাকে সেই অভিযানে না থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি।


এরপরই টুইটে তোপ দাগেন ডেরেক ওব্রায়েন। তৃণমূল মুখপাত্রের বার্তা, মানুষের হয়ে একটা যৌথ আন্দোলন হচ্ছে। নোট কাণ্ডে সিপিএমকে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করতে দেবে না তৃণমূল। জনস্বার্থে আন্দোলনের জন্য চিরশত্রু সিপিএমকে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। এখনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি সিপিএম। কিন্তু যেভাবে মমতার নেতৃত্বে অবিজেপি দলগুলি জোটবদ্ধ হচ্ছে, তা থেকে কী শেষ পর্যন্ত মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারবে সিপিএম? প্রশ্নটা ভাবাচ্ছে সিপিএম শীর্ষনেতৃত্বকেও।