নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বছর ১০ হাজার টাকা করে পেয়েছিল দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। এবার তা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে ২৫ টাকা করার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রশাসনের সমন্বয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, পুজো কমিটিগুলিকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ বিলে মিলবে ২৫ শতাংশ ছাড়। এরইসঙ্গে পুর পরিষেবাও বিনামূল্যে পাবে পুজো কমিটিগুলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা বলেন,'আগে ইলেকট্রিক বিলে ছাড় দিত হত না সিইএসসি। আমরা আসার পর ১০ শতাংশ পরে ১২ শতাংশ ছাড় দেওয়া শুরু হয়েছে। এবার সিইএসসি-র সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি। বিদ্যুত বিলে ২৫ শতাংশ ছাড় দেবে সিইএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। ফায়ার ব্রিগেডে কোনও টাকা দিতে লাগে না। পুরসভাও কর নেয় না। ববি নাও?' ফিরহাদ হাকিম উঠে জানান, পুরসভা কোনও কর নেয় না। জল বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এমনকি বিজ্ঞাপনেও কর নেওয়া হয় না। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, ক্লাবগুলি থানায় আবেদন করলে সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা হবে। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের বিজ্ঞাপন তো দিতেই পারে পুলিস।    


প্রতিটি ক্লাব কমিটিকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সে কথা ঘোষণা করে মমতা বলেন,'গতবার ১০ হাজার করে দিয়েছিলাম। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকায় কয়েকটা ক্লাব পায়নি। কাগজপত্র ঠিক রাখুন। আমি জানি, আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, মন্দা চলছে, তথৈবচ অবস্থা। কিন্তু পুজো তো করতে হবে। এবার আপনাদের জন্য ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করছি। অর্থমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও ডিজির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' 


মমতা আরও বলেন,'বড় ক্লাবগুলো ছোট ক্লাবকে সহযোগিতা করে। ১০টা ছোট ক্লাবকে সহযোগিতা করবে বড় ক্লাবগুলি। মহিলাদের পুজোয় অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা করে দেবে পুলিস। এটুকু করতে পারলাম।'    


লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র থেকে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। আটকে দেওয়া হয়েছে বিসর্জন। স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ। অমিত শাহ প্রায় প্রতিটি সভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাজ্যে কি দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজো করার অধিকার নেই হিন্দুদের? লোকসভা ভোটের ফল বলছে, মেরুকরণে সফল হয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সে কারণে খয়রাতির পথে হাঁটলেন মমতা। আর সেটা স্পষ্ট হল মমতার নিজের কথাতেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলার পুজো নিয়ে রাজনীতি করতে দেব না। বাংলা এগিয়ে যাবে। বাংলা থেমে থাকবে না।'


আরও পড়ুন- মদের পর পান মশলা উৎপাদন ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিহার সরকার