নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনায় ধুঁকছে অর্থনীতি। বেহাল আর্থিক পরিস্থিতি। তারমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বোনাস ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনারে জেরে লকডাউন চলছে। তবে এখনও এরাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের ঠিক সময়ে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এরপরই তিনি জানান, ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪২০০ টাকা বোনাস দেওয়া হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একইসঙ্গে আরও জানান, এবছর বোনাস পাওয়ার ক্ষেত্রে বেতনের ঊর্ধসীমা ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৪,২৫০ টাকা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ৩৪,২৫০ টাকা পর্যন্ত  যাঁদের বেতন, তাঁরা সবাই এই বোনাস পাবেন। এরফলে ১০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে আরও জানান, বোনাস দেওয়ার জন্য সরকারের ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর পাশাপাশি, যাঁদের বেতন বেশি, যাঁরা বোনাস পান না, তাঁদের জন্যও অগ্রিম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৩৪,২৫০-এর পর থেকে ৪১ হাজার টাকা পর্যন্ত যাঁদের বেতন, সেইসব রাজ্য সরকারি কর্মীদের ১০ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়া হবে। এটা পরে বেতন থেকে কেটে নেওয়া হবে।


এখন ইদের সময় মুসলিম কর্মীদের ও পরে দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু কর্মীদের এই বোনাস ও অগ্রিম দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই বোনাস পেনশনাররাও পাবেন। ২৯, ৭০০ টাকা পর্যন্ত যাঁদের পেনশন, সেইসব অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রত্যেকে ২,২০০ টাকা করে বোনাস পাবেন। উল্লেখ্য, পেনশনাদের ক্ষেত্রেও বোনাস পাওয়ার ঊর্ধ্বসীমা ২৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৯,৭০০ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ, স্বশাসিত সংস্থা বা বোর্ডের অধীন কোনও সংস্থার কর্মচারীরাও এই বোনাস বা অগ্রিম পাবেন।


রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বোনাস ঘোষণার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ নিয়েও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, "প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজ আসলে অশ্বডিম্ব। কেন্দ্রের ঘোষণা আসলে বিগ জিরো। এই প্যাকেজের ১০ লাখ কোটি আগেই ঘোষিত। MSME-তে কিছু দেয়নি। করোনা মোকাবিলায় কোনও ঘোষণা নেই। কৃষক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের জন্যও কোনও ঘোষণা নেই। মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। দুর্ভোগের সময় এটা আইওয়াশ কেন্দ্রের।" 


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আর্থিক মন্দা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কোনও দাওয়াই নেই। রাজ্যকে কিচ্ছু দেয়নি। জান অউর জাহান থমকে গেছে। রাজ্যগুলো থমকে গেছে। বাঁচার অধিকার থমকে গেছে। এটা কি লকডাউনের নামে লকআউট?" প্রশ্ন তোলেন তিনি।


আরও পড়ুন, 'সমাজের এক অংশের মানুষ লকডাউন মানছেন না, তাতেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে'