নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলিস-নির্ভরতা কমাতে হবে। মানুষের কাছে না যাওয়ার কারণেই ভোটে বিপর্যয়। তাই, পাল্টে ফেলতে হবে অভ্যাস। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নেতানেত্রীদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে আত্মসংশোধনের বার্তা দিলেন নেত্রী। একইসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও কড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন পুরনোদের ফিরিয়ে এনে কাজ করার টোটকাও।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুটি লোকসভা আসনের মধ্যে একটি হাতছাড়া। ১৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৭টিতেই পিছিয়ে তৃণমূল। হুগলি, নদিয়ার পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দলীয় নেতাদের তৃণমূল ভবনে ডেকে কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে প্রথমবার উপস্থিত থাকলেন তৃণমূলের নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর।



বালি খাদান থেকে টাকা তোলার অভিযোগে গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী, পুলিসের কাজে নাক গলানোর অভিযোগে নারায়ণগড়ের তৃণমূল নেতা সূর্য অট্ট, ধমক খেলেন নেত্রীর কাছে। মহম্মদ রফিককে কেশপুরে যেতে বারণ করা হয়। জেলায় দলের এক প্রাক্তন নেতা ও এক প্রাক্তন পুলিস কর্তার ওপর নির্ভর করে ক্ষতি হয়েছে। বৈঠকে মমতাকে শুভেন্দু অধিকারী এমনটা জানান বলে সূত্রের খবর। প্রাক্তন নেতা ও পুলিস কর্তা কে? এর উত্তর খুঁজতে রাজনৈতিক পণ্ডিত হওয়ার দরকার পড়ে না।          


এরপরই নেত্রীর নির্দেশ, নেতাকর্মীদের পুলিসের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। মানুষের কাছে না যাওয়ার জন্যই এই বিপর্যয়। তাই, জনবিচ্ছিন্নতা কাটাতে হবে। বেআইনিভাবে টাকা তুললেই গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন নেত্রী। মমতার বার্তা, আয়নায় মুখ দেখে নিজেদের সংশোধন করুন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলবে না। দলের মতো করে চলতে হবে, না হলে দলে থাকতে হবে না। পুরনোদের গুরুত্ব দিয়ে দলের কাজে সক্রিয় করতে হবে। নেতাদের মমতার বার্তা, 


ভোটে খারাপ ফলের পর ঘুরে দাঁড়াতে এদিন ৯৮ সালে শুরুর দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেন নেত্রী। এক সময়ে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, শিউলি সাহাকে জেলার মহিলা সংগঠনের সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মানস ভুঁইয়া, অমূল্য মাইতি, নির্মল ঘোষদের নিয়ে জেলার কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন মমতা।


আরও পড়ুন- ঊষসীকাণ্ডের পর এবার দিনের আলোয় মোমিনপুরে পুলিসের সামনে হেনস্থা মহিলা বক্সারকে