কমলিকা সেনগুপ্ত 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নেতাদের মাত্রাছাড়া দুর্নীতির জন্য যে মানুষ তৃণমূল থেকে দূরে সরে গিয়েছে, দলীয় বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার হুগলি জেলা নেতৃত্বের বৈঠকে কোনও রাখঢাক না রেখেই মমতা বলে দিলেন, নেতাগিরি করছো না কাটমানি খাচ্ছো।


হুগলি জেলার সিঙ্গুর ২০১১ সালে মমতার পরিবর্তন সরকার আসার নেপথ্যে অনুঘটকের কাজ করেছিল। সেই সিঙ্গুরেই তৃণমূলকে মাত দিয়েছে বিজেপি। তা মেনে নিতে পারছেন না নেত্রী। হুগলির কর্মী সভায় ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হারানো জমি ফিরে পেতেই হবে, কর্মীদের নির্দেশ তৃণমূল নেত্রীর। ক্ষোভের মুখে পড়েন তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র এবং জেলার এক যুব নেতা।বলেন, ''কে কত বড় নেতা হবে তা নিয়ে বিবাদ করে সিঙ্গুর হেরেছেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। জমি ফিরিয়ে দেওয়ার পরেও এই হাল কেন?''



শুক্রবারের বৈঠকে ব্লক স্তরের কর্মীদের অভিযোগ শোনেন তৃণমূল নেত্রী। নেত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ করেন একের পর এক কর্মী। এক যুব নেতাকে ধমকের সুরে মমতা নির্দেশ দেন, নিজের এলাকাতেই থাকতে হবে। এরপর নেত্রী আরও বলেন, নেতাগিরি করছো না কাটমানি খাচ্ছো। কাটমানি খেলে এবার গ্রেফতার করা হবে। নেত্রী উষ্মাপ্রকাশ করেন, ''আমি তো সংগঠনের জন্য ত্যাগ করেছি। অন্যরা দুর্নীতি করলে আমার কী দোষ! এবার কাটমানি খেলেই গ্রেফতার করা হবে''।


১৯৯৮ সালে তৃণমূলের যাত্রা শুরু সময় কর্মীরা এদিন হুগলির বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। তাঁদের নাম ধরে ধরে খোঁজখবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে নির্দেশ দেন, তাঁরা কোথায় আছেন, খুঁজে বের করুন। অর্থাত্ স্পষ্ট নির্দেশ, নব্য তৃণমূলের দাপটে হারিয়ে যাওয়া পুরনো কর্মীদের ফেরাতে হবে। 


আরও পড়ুন- লকেটের 'রাম নাম' রোখার পুরস্কার, মোক্তারকে মিষ্টি খেতে ১০ হাজার দিলেন মমতা