নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার পুজো মানেই কোটি টাকার লেনদেন। প্রতিমা থেকে ঢাকি, আলো-প্যান্ডেল-ভোগ, খরচ অনেক। কমিটিগুলোর এই বিপুল পরিমাণ খরচের টিডিএস কাটছে না, ফলে জমা পড়ছে না করও। তার প্রতিবাদ করে আন্দোলনে নেমেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আরও একবার সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট বলেছেন, কর দেবেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছিল, টিডিএস নিয়ে তথ্য দিতে না পারায় পুজো কমিটিগুলিকে পাঠানো হয়েছিল নোটিস। তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঙ্কার দিয়েছিলেন,'আয়কর ডাকলে কেউ যাবেন না। পুজো মানুষকে আনন্দ দেয়। টাকা, চাঁদা দেয় মানুষ। তুমি মোদী বাবু টাকা দাও? পুজো বন্ধ করে দেবে?' এরপর ধরনাতেও বসে তৃণমূল। পরে বিবৃতি জারি করে আয়কর দফতর সাফাই দেয়, পুজো কমিটিগুলিকে নোটিস পাঠানোর খবর ভুয়ো। চলতি বছরে এ ধরনের কোনও নোটিস পাঠানো হয়নি। 



আয়কর দফতর জানায়, ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে আয়কর আইনের ১৩৩ (৬) সেকশনে নোটিস পাঠানো হয় ৩০টি পুজো কমিটিকে। ওই নোটিসে শুধুমাত্র জানতে চাওয়া হয় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার এবং ইভেন্ট ম্যানেজারের পেমেন্ট নিয়ে। যাঁরা এখনও পর্যন্ত রিটার্ন ফাইল করেননি। টিডিএস-এর খতিয়ানও চাওয়া হয়।


গতবার প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, এবার আপনাদের জন্য ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করছি।বিদ্যুত বিলে ২৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। বলেন,'বিদ্যুত বিলে ২৫ শতাংশ ছাড় দেবে সিইএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ।' এর সঙ্গে পুরসভা ও দমকল কর নেওয়া হয় না বলেও মনে করিয়ে দেন মমতা। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজ্ঞাপনের করও নেয় না রাজ্য সরকার। দরকারে বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন- রাজ্যে গণপিটুনি প্রতিরোধে চূড়ান্ত বিল ও খসড়ার শাস্তি অমিল