নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণশ্বরে রানি রাসমনি স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করে বিজেপিকে 'হিন্দুত্বে'র পাঠ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুও করলেন হিন্দুত্ব দিয়েও, শেষ হল হিন্দুত্ব দিয়েই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,''হিন্দু, মুসলিম, শিখ ও খৃষ্ট্রানের মধ্যে ভাগাভাগি করছে। গেরুয়া পরলেই কেউ সাধু হন না। মনটা সাধুর মতো হওয়া চাই''।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্ব ধর্মসভায় স্বামী বিবেকানন্দের ভাষণের ১২৫ বছর উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রামকৃষ্ণ মিশন। ওই অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শিকাগোয় মমতার বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখায় অনাবাসী ভারতীয়দের একাংশ। এমনকি রামকৃষ্ণ মিশনকেও চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে মিশন। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''স্বামী বিবেকানন্দ যেখানে ভাষণ দিয়েছিলেন, বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে সেই জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভয় দেখিয়ে বলে দিল, আমাকে যেতে দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র কেউ কেউই হিন্দু ধর্ম করবে, বাকিরা করবে না''।


মমতা আরও বলেন,''২০-২৫ বছরে হিন্দু ধর্ম শেখাচ্ছে। বেদবেদান্ত যখন তৈরি হয়েছিল, তখন জন্মেছিল? হিন্দু ধর্মের সমস্ত শিষ্টাচার জানে না জানতে পেরেছে''। মুখ্যমন্ত্রীর খোঁচা, ''গেরুয়া পরলেই সাধু হয় না। মনটা সাধুর মতো হওয়া চাই। গেরুয়া মানে ত্যাগ, তিতিক্ষা। এরা খায়, দায় ঘুরে বেড়ায়। আর ভাষণ দিয়ে বেড়ায়। আসল সাধুসন্ত পাহাড়ে থেকে বনে থেকে তপস্যা করেন। লোভ কাজ করে না। এরা এনজয় করে বেড়াবে আবার গেরুয়া পরবে। একটা সত্যি গেরুয়া আর একটা ঝুটা''। 


সম্প্রীতির নজিরও তুলে ধরেন মমতা। বলেন,''বেলুড়মঠের মধ্যে রয়েছে মাজার। এটা মাথায় রাখতে হবে। রামকৃষ্ণ বলতেন, ওরে মা মানে তো মা। কেউ মা বলে, কেউ আম্মা''। বাংলার মানুষ বিভেদের রাজনীতিতে পা দেবেন না তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ''আমরা ভাগাভাগি করি না। বাবা-মায়েরা এটা শেখায়নি''।


রাজনৈতিক মহলের মতে, বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় রাজ্যে বিজেপির উত্থান স্পষ্ট হচ্ছে। গোটা রাজ্যেই প্রবল হয়েছে হিন্দুত্বের হাওয়া। বিজেপির হিন্দু ভোটেই এদিন ভাগ বসানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।      


আরও পড়ুন- উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসের শিবরাত্রির সলতে মিজোরামে বড় ধাক্কা, বিজেপিতে হেভিওয়েট নেতা