মৌমিতা চক্রবর্তী: জৈন সমাজের অনুষ্ঠানে অন্য মুডে মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে ডান্ডিয়া নাচলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আমাদের একটা জেলার নাম বর্ধমান। মহাবীর জৈন যখন ছোট ছিলেন, তখন ওঁর নাম ছিল বর্ধমান। ওঁর নামেই আমরা জেলা বানিয়েছি, যার নাম বর্ধমান। বর্ধমানে কী করতে হবে, আমাকে লিখে দেন। আমি নিশ্চয়ই করে দেব'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Calutta High Court: গণধর্ষণ মামলায় নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ, ২ ওসিকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের!


পয়সা বৈশাখ-ই 'বাংলা দিবস'। বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পাস হয়ে গেল প্রস্তাব। এদিন জৈন সমাজের অনুষ্ঠানে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'আজ আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিলাম। বাংলার প্রতিষ্ঠাদিবস আমরা পয়লা বৈশাখ করেছি। ওই মাস থেকে বাংলা ক্য়ালেন্ডার শুরু হয়। আর 'বাংলার মাটি, বাংলা জল', আমাদের যেমন জাতীয় সংগীত আছে, অনেক রাজ্য়ে রাজ্য়ের জন্য়ই একটা সংগীত থাকে'।


মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'ইন্ডিয়া একটা বড় রাষ্ট্র। এখানে সব ধর্মের মানুষ থাকেন। আজ নয়, অনেক আগে থেকেই। যখন দেশ স্বাধীনও হয়নি,তখন থেকে। আমাদের যা করার আছে, অবশ্যই করব'। সঙ্গে ঘোষণা, 'আগে জমি  লিজে নিতে হত। ১০ বছর, ১৫ বছর ৩০ বছর পরে ব্য়াঙ্কে যেতে হত। সরকারে অনুমতি নিতে হত। অনেক সমস্য়া হত। আমি ঠিক করেছি, পাসও হয়ে দিয়েছে। লিজে জমি দেব না, আমি ফ্রি হোল্ড জমি দেব। যাঁরা লিজে জমি নিয়েছেন, তাঁরা ফ্রি হোল্ড জমি নিন। আমি করে দিয়েছি। আপনারা যা হয় করুন, ব্যবসা করুন। আমি বাধা দেব না'।


সরকারি অনুদানের ১০ লাখ টাকা দ্রুত খরচ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আরও দশ লাখ আপনাদের কাছে পরে আছে। ওটা দিয়ে তাড়াতাড়ি কিছু একটা করুন। জমির কথা বলেছেন, ববিকে ডাকা উচিত ছিল। ক্যাবিনেটে নিয়ে যাব। ক্যাবিনেটে যদি পাস হয়ে যায়, তাহলে জমি পেতে সমস্যা হবে না'।



আরও পড়ুন: Bangla Divas: 'রাজ্যপাল সই না করলেও কিছু যায় আসে না', ১ বৈশাখ-ই বাংলা দিবস, পাস বিধানসভায়!


এদিকে মুখ্য়মন্ত্রী তখনও এসে পৌঁছননি। এদিন আচমকাই লোডশেডিং হয়ে যায় ধনধান্য অডিটোরিয়ামে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)