মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাই, কালীঘাটের বৈঠকের পর জানালেন মমতা
লোকসভা নির্বাচন বিপর্যয়ের কারণ অন্বেষণে এদিন কালীঘাটে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচ মাস ধরে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। অপমানিত বোধ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণে দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়তে চাইলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, ''এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারছি না, দলের সভানেত্রী থাকব। কিন্তু ওরা মানতে চাইল না''।
লোকসভা নির্বাচন বিপর্যয়ের কারণ অন্বেষণে এদিন কালীঘাটে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেত্রী। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাব দেন 'অপমানিত' মমতা। সাংবাদিক বৈঠকে সে কথা জানিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন,''পাঁচ মাস আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তিন মাস ধরে নির্বাচন চলেছে। তার আগে দু'মাস ধরে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছিল কমিশন। অপমানিত বোধ করছি। সোজা বলেছি, এই পরিবেশে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই না, দলের সভানেত্রী থাকতে চাই। পার্টি সিম্বল ম্যাটার করে। চেয়ার আমার কাছে কিছু নয়। আগেও অনেকবার ছেড়ে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার মানসিকতা নেই। ওরা গ্রহণ করেনি''।
মমতা আরও বলেন,''আমি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি পছন্দ করি না। আমার বিবেকে লেগেছে। তাই চেয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে রাজি নই। সারাজীবন লড়াই করেছি। এটাই আমার উদ্দেশ্য। লড়াই চালিয়ে যাব''।
মমতার দাবি, আসন কমলেও তৃণমূলের ভোট বেড়েছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে জিতেছে বিজেপি। ওই রাজনীতি করে সফল হয়নি তৃণমূল। কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করে। বাহিনী, বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- ইস্তফা তো দূর, গোহারার পরও রাহুলকে কার্যত পুরস্কৃত করে নাটক মঞ্চস্থ করল কংগ্রেস!