Mamata Banerjee: `দলের প্রার্থীকে হারিয়ে নির্দল নিয়ে ঘোরা! সুযোগ এলে দল ক্যাঁচ করে আপনার নাম কেটে দেবে`: মমতা
নির্দল ও তাদের সাহায্যকারী নেতাদের উদ্দেশ্যে মমতা আরও বলেন, প্রথম সাবধান করব। না শুনলে শোকজ করব। দুবার শোকজ হলেই সাসপেন্ড করে দেব
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার পুরভাটে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হলেও দলকে ভালো বেগ দিয়েছে ক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীরা। পুরভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিরোধীরা নয়, জয়ী প্রার্থীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নির্দল প্রার্থীরাই। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের বর্ধিত কমিটির বৈঠকে সেইসব নির্দল প্রার্থী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক নেতাদের কড়া হুঁশায়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়(Mamata Banerjee) বলেন, দলের নির্দেশ যারা মানছেন না তাদের প্রত্যেকের খবর আমার কাছে রয়েছে। কিছু নির্দল আর কিছু নেতা রয়েছেন যারা এসব করছেন। ভাবছেন আপনার সুযোগ এসেছে? দল যখন সুযোগ পাবে তখন আপনার নামটা ক্যাঁচ করে কেটে দেবে। কীসের জন্য দলের কিছু নেতা এসব করছে? যেখানে দলের প্রার্থী নেই সেখানকার কথা না হয় বোঝা গেল। সেখানে না হয় কাউকে সমর্থন দিতে হয়। কিন্তু দলের প্রার্থী থাকা সত্বেও নির্দলকে জিতিয়ে নেতা হবেন! আমি ৭-৮ জনের নাম দেখেছি। কেউ কেউ টিভিতে বিবৃতিও দিচ্ছেন। আমি একটা ডিসিপ্লিনারি কমিটি তৈরি করে দিচ্ছি। সেখানে থাকবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অরূপ বিশ্বাস ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
নির্দল ও তাদের সাহায্যকারী নেতাদের উদ্দেশ্যে মমতা আরও বলেন, প্রথম সাবধান করব। না শুনলে শোকজ করব। দুবার শোকজ হলেই সাসপেন্ড করে দেব। যতবড় নেতাই হোক না কেন। দলের কিছু নেতা খাটতে খাটতে মরে যাবে আর কিছু লোক দলের বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা বলে ভাইরাল হবে। এসব পার্টি সহ্য করবে না। দু-তিনজনকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। তাদের লাস্ট চান্স দেওয়া হয়েছে। সারাক্ষণ প্রেসে বিবৃতি দিচ্ছে। পার্টির বদনাম করছে। এক লাখ কর্মী ভালো কাজ করবে আর কয়েকজন খারাপ করবে? খারাপ লোকদের নেব না।
পুরভোটে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের এদিন স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পুরভোটে গোলমালের অভিযোগ তোলায় বিরোধীদের নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, হেরে গিয়েও ওদের লজ্জা নেই। নিজের ওয়ার্ডে হেরেছে। হেরে গেলেই বলে ঝামেলা হয়েছে। ঝামেলার জায়গাগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন। কন্টাই, ব্য়ারাকপুর, ভাটপাড়া, বহরমপুর। নিজেদের লড়াই করার ক্ষমতা নেই তাই ওইসব জায়গায় ঝামেলা করা হয়েছে। কাউকে ভোটে দিতে বাধা দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। কাল দেখেছেন বিধানসভায় বিজেপি কীভাবে অসভ্যতা করেছে। অসভ্যের দল। মহিলারা কাল লিড দিয়েছে। মহিলাদের ওরা অনেক অপমান করেছে। অনেক অকথা কু-কথা বলেছে। গতকাল আমাদের মহিলা ব্রিগেড গণতন্ত্রের সম্মান রক্ষা করেছে।
আরও পড়ুন-যুদ্ধে ছিন্ন Ukriane, একাই হাজার কিলোমিটার পাড়ি ১১ বছরের শিশুর