নিজস্ব প্রতিবেদন : চতুর্থ দফার লকাডাউনে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কেন্দ্র কারফিউ ঘোষণা করলেও, এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন, রাজ্যে কোনও কারফিউ জারি করা হচ্ছে না। লকডাউন চলবে। তবে আলাদা করে কারফিউ জারি করা হচ্ছে না। যদিও সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সবাইকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট কথা, "সন্ধ্যা ৭টার পর বাইরে বেরবেন না। সন্ধ্যা ৭টার পর বাইরে বেরলে পুলিস ব্যবস্থা নেবে। পুলিসকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একইসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২১ তারিখ থেকে সব বড় দোকান খুলবে। তিনি বলেন, কনটেইনমেন্ট জোনকে ৩ ভাগে ভাগ করা হচ্ছে- A (affected) জোন, B (Buffer) জোন, C (clear) জোন। A zone ছাড়া সর্বত্র ২১ তারিখ থেকে বড় দোকানগুলি খুলবে। হোটেল খুলবে। তবে রেস্তরাঁ এখনই খুলছে না। পাশাপাশি খুলবে হেয়ার কাটিং সেলুন ও বিউটি পার্লারও। তবে করোনা সতর্কতায় বেশকিছু নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একজনের কাঁচি, ব্লেড অন্যজোনকে ব্যবহার করা যাবে না। একজনের শরীরে ব্যবহারের পর সেগুলি স্টেরিলাইজ করে নিতে হবে। কীভাবে স্যানিটাইজেশন করতে হবে, তার গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে ২১ তারিখ থেকে আন্তঃজেলা বাস চলবে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২৭ তারিখের পর খুলে দেওয়া হবে হকার্স মার্কেটও। জোড়-বিজোড় সংখ্যার পাস ইস্যু করা হবে হকার্স মার্কেটের দোকানদারদের। সেই পাসের নম্বরের ভিত্তিতে অল্টারনেটিভ দিনে খোলা হবে দোকান। এদিন মেয়র, পুলিস কমিশনার, ডিজি ও পুরসভা সচিবকে নিয়ে একটি কমিটি গঠনের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, এই কমিটি-ই এই জোড়-বিজোড় পাস ইস্যু করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, দোকান যেমন খুলছে, ঠিক তেমনই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কিছু বিধিনিষেধ অবশ্য করে মেনে চলতে হবে।


দোকানদের মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। প্রতিদিন দোকান স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সবসময় মাথায় রাখতে হবে 'Musk' মানে 'One Must respect others'। তাই বাইরে বেরলেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। দোকান, হকার্স মার্কেট, বাসের পাশাপাশি এবার অটো চালুর কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৭ তারিখের পর থেকে অটো চলবে বলে জানান তিনি। আরও বলেন, কোনওরকম ভিড় বা জমায়েত ছাড়া খেলা চলতে পারে। শপিং মল খোলা যাবে না, তবে মলের ভিতর কোনও অফিস থাকলে তা খোলা যাবে। একইসঙ্গে এদিন কোনও অনুষ্ঠান উপলক্ষে জমায়েতের সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হয়েছে। ৭ জন থেকে বাড়িয়ে ১৫ জন করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, চোখ রাঙাচ্ছে আমফান, কাকদ্বীপ-ক্যানিংয়ে মোতায়েন হল NDRF-SDRF দল