নিজস্ব প্রতিবেদন : ভিতরে মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ। এসএসকেএম চত্বর জুড়ে তুমুল উত্তেজনা। এনআরএস-এ এবং আগেও বহুবার রোগীর পরিবারের আত্মীয়ের হাতে চিকিত্সক নিগ্রহের ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে ধরে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। সব মিলিয়ে এসএসকেএম-এ কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস।' আর কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিলেন চরম হুঁশিয়ারি। হস্টেল খালি করার নির্দেশ দিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে এদিন আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালে কর্মবিরতি ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় এসএসকেএম-এ। রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। এরপরই বেলা ১২টা ২০ নাগাদ এসএসকেএম-এ পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরএস কাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেফতারের পরেও ধর্মঘট কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি।


আরও পড়ুন, 'ডাক্তারদের আন্দোলনে আপত্তি নেই,ভিতরে ঢুকতে দিন',দাবিতে পথ অবরোধ রোগীর আত্মীয়দের


বলেন, "৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেব।" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।"  হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।


এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি তুলে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দেন, "৪ ঘণ্টার মধ্যে যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। সরকার তাঁদের আর কোনও সাহায্য করবে না।" তোপ দাগেন, "২৫ লাখ টাকা দিয়ে পড়াব, তারপর বন্ড দিয়ে পালিয়ে যাবে?" কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি এসএসকেএম- দাঁড়িয়ে হস্টেল খালি করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।