প্রবীর চক্রবর্তী: আগামিকাল দিল্লিতে শপথ নিচ্ছে এনডিএ সরকার। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে আজ কালীঘাটে দলের জয়ী, পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলে দিলেন নতুন এনডিএ সরকারের ভবিতব্য কী। শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়া জোট যে সরকার গড়ছে তাও তিনি স্পষ্ট করে দিলেন। তবে তা অলীক কল্পনা বলে উড়িয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  খুব বেশিদিন এই সরকার চলবে না, শীঘ্রই এনডিএ সরকারের পতন হবে, বলে দিলেন মমতা


এদিন বৈঠকে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভারতে মহিলা সাংসদদের মধ্য়ে আমাদের নির্বাচিত মহিলা সাংসদের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ। একজন মহিলাকে আমরা হারিয়েছি তাকেও জোর করে হারানো হয়েছে। তাও নির্বাচন কমিশনের দয়ায়। মেদিনিপুর পূর্বের ভোটে যদি দেখানে তাহলে দেখবেন সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে ভোটে লুট করা হয়েছে। লোকসভা ভোটের থেকে বিধানসভা ভোটের তফাত আছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আমরা ১৬১টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিলাম। বিজেপি এগিয়েছিল ১২১টি সিটে। এনিয়ে মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে। মিডিয়ায় তা দেথানো হচ্ছে। এবার লোকসভা ভোটে ১৯২ সিটে আমরা এগিয়ে আছি। বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৯০ আসনে।


বৈঠক নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, এই  জয় উত্সর্গ করা হচ্ছে মানুষকে। আর একটা জিনিস বলব, মোদীবাবুর হারটা আপনারা কেউ আশা করেননি। এনিয়ে সাট্টা বাজার, শেয়ার বাজারে বড় দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে আইনি সহায়তা নেওয়া যায় কিনা তা আমরা ভেবে দেখছি। সংসদে আমরা বসে থাকার জন্য যাচ্ছি না। এটা কেউ ভাববেন না যে ইন্ডিয়া ব্লক আজ সরকার গঠন করছে না বলে কাল করবে না। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি, অপেক্ষা করছি। দেশ মোদীকে চায় না। এতবড় হারের পর মোদীবাবুর উচিত ছিল অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া। আমরা মনে করছি আমাদের লোকরা এনআরসি নিয়ে আলোচনা চাইবে এবং এনআরসি বাতিল করতে হবে। নতুন সরকার শেষপর্যন্ত ইন্ডিয়ারই হবে। তবে এই সরকার যত দিন থাকে। একটু সামলাতে দিই । এনডিএ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে পার্থক্য হল এনডিএর মধ্যে যেসব দলগুলিা আছে তাদের চাওয়াটাও বেশি আছে। কিন্তু ইন্ডিয়াতে যেসব টিম আছি তারা কিছু চাই না। আমরা শুরু মানুষের ভালো চাই। দেশের ভালো চাই। সেইজদনই আমরা অপেক্ষা করতে চাই। এনআরসি, সিএএ গায়ের জোরে পাস করানো হয়েছে। এনআরসি, সিএএ বাতিল করতে হবে। আমরা দবি করব যেসব রাজ্যের টাকা বাকী আছে তাদের টাকা দিয়ে দিতে হবে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, আমরা তৃতীয় বৃহত্তম দল। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাকে আমরা লোকসভার নেতা হিসেবে ঘোষণা করছি। চিফ হুইপ কল্যাণ ব্যানার্জি, ডেপুটি লিডার কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ওব্রায়েন, ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ, চিফ হুইফ হচ্ছেন নাদিমূল হক। জিনিসপত্রে দাম বড়েছে, বেকারি বেড়েছে, আচমকায় শোয়ারের দাম কীভাবে বেড়ে গেল! কারা এর পেছনে রয়েছে। দাল মে তো কুছ কালা হ্যায়। বড় স্ক্যাম হয়েছে। তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা লক্ষ্য রাখছি। খুশি হব যত তাড়াতাড়ি একটি দুর্বল সরকার ঘরে ফিরে যায়। মোদীর জায়গায় যদি আমি থাকতাম তাহলে এই দায়িত্ব নিতাম না। এতদিন যে ওরা বিলা পাস করিয়েছে তাতে ওরা কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি। শুধুই পাস করিয়ে নিয়েছে। স্বৈরতন্ত্রেরও একটা সীমা থাকে। যত তাড়াতাড়ি এরা ঘর ফিরে যায় ততই ভালো। আমাদের শুভকামনা দেশের জন্য থাকবে, নতুন সরকারের জন্য নয়। বিজেপিকে বুঝতে হবে, দল ভাঙানো ভালো নয়। এরকম করলে আপনার দলই ভেঙ্গে যাবে।   



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)