জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জয়নগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। হেলিপ্যাড থেকে হেঁটেই সভাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী। দেড় কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে জনসংযোগে জোর। সভায় কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করা হবে, দেওয়া হবে সরকারি সহায়তাও। সভা থেকে ফিরে বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন আউট্রাম ঘাটে। গঙ্গাসাগরের ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন তিনি।চোখ চব্বিশে। জয়নগরে বঞ্চনা ইস্যুতে অলআউট  মমতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kunal Ghosh And Arup Biswas: ব্য়াঙ্কের মাধ্যমে ডায়মন্ডহারবারে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হচ্ছে, শুভেন্দুর কুত্সা ধোপে টিকছে না, সরব তৃণমূল


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জয়নগরের মোয়া জিআই পেয়ে বিশ্ববিখ্যাত হয়েছে। আমরা আড়াইকোটি টাকা ব্যয়ে জয়নগরে মোয়া হাব করছি। সুন্দরবনের মধুও জিআই পেয়েছে। জেলার মুকুটে দুটো স্বর্ণ পালক। ৭০০ কোটির প্রকল্প জেলার জন্য হল।' এদিন তিনি আরও বলেন, 'ভোটার লিস্ট হচ্ছে আবার। যার নাম নেই, গিয়ে তুলুন। না হলে এনআরসির নামে ক্যা ক্যা করবে কিন্তু। সংখ্যালঘু উন্নয়নে বাংলা বিশ্বে প্রথম। এটা আমাদের গর্বের জায়গা। গ্রামীণ রাস্তার জন্য ৪০০০ কোটির প্রকল্প হাতে নিয়েছি।'


মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, 'কেন্দ্র টাকা না দিলেও জব কার্ড হোল্ডারদের দিয়ে ৪০ পার্সেন্ট কাজ করেছি। ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে খুনখারাপি বরদাস্ত হবে না। কয়েকদিন আগে এখানে হয়েছে। উৎসব সবার। আপনারা ইলেকশনের আগে গিমিক করতে করছেন। করুন না আমার আপত্তি নেই। ভেদাভেদ করবেন না। আমরা রেপিষ্টদের প্রশ্রয় দিই না। বিলকিস বানু নিয়ে মহুয়া মৈত্র প্রতিবাদ করেছিলেন। এটা তৃণমূলের জয়।' 


মমতা দাবি করেন, 'লক্ষীর ভান্ডার সারাজীবন পাবেন। লড়াই চলবে। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করব না। মানুষের মুন্ডু নিয়ে খেলেছে সিপিএম। ভুলে গেছেন ৩৪ বছর। বামেদের সঙ্গে আপোষ নয়। বগটুইতে সিজার লিষ্ট দেয়নি সিবিআই। চিটফান্ডে অনেক অ্যারেস্ট করেছেন। মানুষের টাকা ফেরত দিলেন কী? চিটফান্ড এনেছিল কে? সিপিএম। একটাও সিপিএম অ্যারেষ্ট হয়েছে? তৃণমূলের ভয়ে কাঁপে এরা। ভাবছে সবাইকে অ্যারেষ্ট করে ভোট করবে। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব, সূচাগ্র মেদিনী। বিজেপি ভিডিয়ো করছে। মা বোনেরা পাল্টা ভিডিয়ো করে বলুন, ওটা ফেক।' 


জয়নগরে ফের বরাদ্দ বঞ্চনায় সরব মমতা। বার্ধক্যভাতা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। নিজেদের তহবিল থেকেই বয়স্কদের টাকা দিচ্ছে তৃণমূল। দফায় দফায় বিধবাভাতাও চালু। জবরদস্তি গেরুয়াকরণের চেষ্টা। সব প্রকল্পে বিজেপির লোগো লাগাতে চাপসৃষ্টি। আমরা বাধ্য নই। তাই আবাস একশো দিনে টাকা বন্ধ। তবুও থামবে না বাংলার উন্নয়ন। চ্যালেঞ্জ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, '৬টি টিম এসেছে। তাও টাকা দিচ্ছে না। আমাদের সবটাকা দিল্লি তুলে নিয়ে যায়। ঘর তৈরির টাকা দেয় না। লজ্জা করে না। সব গেরুয়া করতে হবে। আমি পার্টির লোগো লাগাতে বাধ্য নই।'  



আরও পড়ুন, ED Officers Attacked: সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকলেন ইডি ডিরেক্টর রাহুল নবীন...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)