কলকাতা: শরতের আকাশে দখল নিয়েছে কালো মেঘ। বুকে কাঁপন তুলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি আর মুখ ভার করা আকাশ। আনন্দ উত্সবের আগেই যেন মন খারাপ - মন খারাপ ভাব। তবে আগমনীর যাত্রা যখন শুরু হয়েই গিয়েছে তাহলে আর থেমে থাকা নয়। বৃষ্টির ভ্রূকুটি উপেক্ষা করেই শারদোত্সবে সামিল হতে তৈরি আপামর বাঙালি। হাতে সময় নেই মুখ্যমন্ত্রীরও। একের পর এক পুজো উদ্বোধন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অন্তরালে থেকেই পথ দেখাচ্ছেন বুদ্ধ! বই লিখলেন হিটলারের পরাজয় নিয়ে 


সবাই চাইছে দুর্গা পুজোর দ্বার উদঘাটন হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। ইচ্ছা না-থাকলেও 'দিদিমণি' কাউকেই হতাশ করেননি। কোথাও সশরীরে উপস্থিত হয়েছেন, প্রদীপ জ্বালিয়েছেন, পুষ্পার্পণ দুর্গা স্তোত্রও পাঠ করেছেন। আর যেখানে যাওয়ার সময় পাননি, সেই পুজো উদ্বোধন করে দিলেন একেবারে কর্পোরেট ধাঁচে। যেমন এন্টালির উদয়ন সঙ্ঘের কথাই ধরুন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পাড়া একডালিয়া এভারগ্রিনে দাঁড়িয়েই ভিডিয়ো যোগে উদ্বোধন করে দিলেন এন্টালির উদয়ন সঙ্ঘের পুজো। তারপর একে একে চলে গেলেন ফাল্গুনী সঙ্ঘ, সিংহী পার্ক,  বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়নে। তার আগে গিয়েছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পুজো হিন্দুস্তান পার্কেও। এই ভাবেই ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেরে ফেললেন হাফ ডজন পুজো উদ্বোধন। তবে সব থেকে বেশি সময় কাটাতে হল একডালিয়াতেই।



(ফাল্গুনী সঙ্ঘে ছবি আঁকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)


আরও পড়ুন- জগতজোড়া ভালবাসায় বাকরুদ্ধ ‘দনুজদলনী দুর্গা’


সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আবদারে শ্লোকপাঠও করলেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে বেনারসী উপহার দিলেন সুব্রত বাবুর স্ত্রী ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়। তবে সেই উপহার গ্রহণ করলেও তা বাড়ি নিয়ে যাননি তিনি। বরং ‘বৌদি’-কেই (ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়) সেই উপহার দিয়ে এসেছেন মমতা। জন সমক্ষেই তিনি বলেন, “আমাকে আর দিও না। আমি কোথায় রাখব?”


আরও পড়ুন- ‘অরূপ-ববির তো মুখ দেখাদেখি বন্ধ’


মহালয়ার দিন বাগবাজার সার্বজনীনের পক্ষ থেকে যে স্মারক তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সেই স্মারকও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়ে এসেছেন তিনি।  অন্যান্য পুজোগুলোতেও যে উপহারই তাঁকে দেওয়া হয়েছে তা গ্রহন করলেও সেগুলোর একটিও বাড়িতে নিয়ে যান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ট্র্যাডিশন তাঁর আজকের নয়। শুরু থেকেই উপঢৌকন  নেন না তিনি। উল্টে কেউ কিছু চাইলে হাত উপর করে সেই আবদার মেটানোই তাঁর ধর্ম বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।