কমলিকা সেনগুপ্ত: ২০২১-এর বিধানসভাকে পাখির চোখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই রাজ্য এবং জেলাস্তরে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল করেছেন। সেই লক্ষ্যে এই প্রথম দলনেত্রী নিজের হাতে ব্লকস্তরে রদবদল করতে চলেছেন। পুরো অগস্ট মাস জুড়ে এই বৃহত্ কর্মকাণ্ড চলবে তৃণমূলের পরিবারে। নিজের হাতে ব্লক প্রেসিডেন্ট এবং টাউন প্রেসিডেন্ট ঠিক করবেন দলের সুপ্রিমো। এবার আর থাকছে না  অ্যাডহক পদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

** নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি--


তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলাগুলোকে নির্দেশ পাঠিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিটি জেলার সভাপতি, চেয়ারম্যান এবং কো-অর্ডিনেটর একসঙ্গে বসে সর্বসম্মতভাবে ব্লক প্রেসিডেন্ট এবং টাউন প্রেসিডেন্টের নাম ঠিক করবেন। সেই নাম ২১ জনের রাজ্য সমন্বয় কমিটি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠাবেন তাঁরা। সবদিক বিবেচনা করে সেই নামে সিলমোহর দেবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থাকে বা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি না থাকলে, সেই নাম বাতিল করে জেলায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


** কেন এই রদবদল—
রেশ দুর্নীতি, আমফানে কাটমানি সহ একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ তৃণমূল সুপ্রিমো গরে ও বাইরে একাধিকবার ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। শুধু কথার কথাতেই ক্ষান্ত ছাকেন নি, সম্প্রতি তৃণমূলস্তরে একাধিক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেছেন। তিনি জানেন এটা রোধ না করা গেলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সমস্যায় পড়তে  পারে বলে মনে ওয়াকিবহাল মহল। সেই কথা মাথায় রেখে  তৃণমূলস্তরে সাংগঠনিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে  তিনটি বিষয়কে পাখির চোখ করেছেন দলনেত্রী। ১. স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ২. গোষ্ঠীকোন্দল ৩. দুর্নীতিমুক্ত দল। তার জন্য যেকোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পিছুপা হবেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।

আরও পড়ুন: রিয়া যদি নির্দোষ হন তাহলে যেন পালিয়ে না বেড়ান, বললেন সুশান্তের দাদা


এই প্রথম ব্লকস্তরে সাংগঠনিক রদবদলে হস্তক্ষেপ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, গোষ্ঠীকোন্দল, দুর্নীতিমুক্ত দল তৈরি করার পাশাপাশি দলনেত্রী চাইছেন রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক বাঁধন আরও মজবুত করতে। তার জন্য দলের পুরনো কর্মী যাঁরা অভিমানে পার্টি থেকে বসে গিয়েছেন কিংবা যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের সম্মান দিয়ে দলে ফেরাতে চাইছেন মমতা। এখানেই শেষ নয় দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে নতুন মুখ পার্টিতে আনাও নেত্রীর উদ্দেশ্য। বাড়াতে চাইছেন দলের সদস্য সংখ্যাও। সেইসঙ্গে লক্ষ্য ব্লকে ব্লকে সংগঠন মজবুত করা। তাই নিজের হাতেই এই দায়িত্ব তুলে নিয়ে দলের অন্দরেই সমালোচনা, ক্ষোভ  বন্ধ করে দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।