কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে দলের নেতাকর্মীদের মাঠে নামার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। তার আগে সংগঠন গুছিয়ে নিতে চাইছেন মমতা। আর সে জন্য দলের নেতাকর্মীকে সতর্ক করে দিলেন। জঙ্গলমহলে নেতাদের আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তাও দেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়, ''আর কি চাই! এবার চাওয়া বন্ধ করুন দেওয়া শুরু করুন''। 


সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে তৃণমূলকে কড়া টক্করের মুখে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকে রুখতে মমতা বার্তা, "ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার নেতৃত্বকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সব আমি করে দেব''। কাজ না করলে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর পরামর্শ, পুরনোদের গুরুত্ব দিতে হবে। নতুনদের ঠাঁই দিতে গিয়ে পুরনোদের বঞ্চিত করা হলে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এমন পরিস্থিতিতে সরাসরি তাঁকে চিঠি পাঠানোর নিদান দেন মমতা।              
রাজ্যজুড়ে গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল। তা নিয়েও কড়া কথা শুনিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বার্তা, কোনও লবি করে নেতা হওয়া যাবে না।  


লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে রথযাত্রা করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এর আগে উত্তর ভারতে রথযাত্রা করলেও বঙ্গের রাস্তায় প্রথমবার গড়াবে বিজেপির রথের চাকা। তারাপীঠ, কোচবিহার ও গঙ্গাসাগর থেকে টান পড়বে বিজেপির রথের রশিতে। তিনটি জায়গাতেই যাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপির রথকে ইতিমধ্যেই ফাইভস্টার হোটেল বলে খোঁচা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তৃণমূল নেত্রীর খোঁচা, রাবণযাত্রা করছে বিজেপি। বিজেপির রথযাত্রায় যাতে কোনও ঝামেলা না হয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, রথ যে রাস্তা কলুষিত করবে, সেই রাস্তাতেই হবে তৃণমূলের শান্তিযাত্রা অথবা পবিত্রযাত্রা। বিজেপির রথ যে রাস্তা ধরে যাবে, সেখানেই পরেরদিন পবিত্রযাত্রা করবে তৃণমূল। 


আরও পড়ুন- উদ্বোধনের আগে শহরের প্রথম ঝুলন্ত রেস্তোরাঁর অন্দরের ছবি দেখে নিন