নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরসি বিরোধী আন্দোলন অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। বৃহস্পতিবার নাগরিকপঞ্জী বিরোধী পদযাত্রার পর সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ''অসমে ১৯ লক্ষ মানুষ নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১২ লক্ষ বাঙালি হিন্দু। এক লক্ষ গোর্খা। বৌদ্ধ, মুসলিম ও গোর্খারাও রয়েছেন।''         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা এদিন দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন, বুড়ো খোকারা দেশ ভাঙলে আন্দোলনে নামতে হবে। কেউ কাউকে বাঁচায় না। আন্দোলনের ডাক আসলে যে জামাকাপড়ে আছেন বেরিয়ে আসতে হবে। যার কাছে যা আছে, তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এটা অস্তিত্বরক্ষার লড়াই। কেন অস্তিত্বরক্ষার লড়াই তাও ভেঙে বলেছেন মমতা? তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ''কেন বলছি? অসমে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন ১২ লক্ষ হিন্দু, ১ লক্ষ গোর্খা। মুসলিম এবং বৌদ্ধও আছে। আইকার্ড, পাট্টা জমা দিয়েও ঠাঁই হয়নি। একটা দেশে ক'বার করে পরাধীন হতে হবে? এখন প্রমাণ দিতে হবে আমরা নাগরিক।'' বিজেপির কটাক্ষ, বাংলার মানুষের অস্তিত্বের লড়াই নয়, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্তিত্বরক্ষার লড়াই।  
   


মমতা হুঁশিয়ারি দেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। বাংলায় এনআরসি চালু হবে দেব না। আর একটা বঙ্গভঙ্গের চেষ্টা করবেন না। ক্ষমতা থাকলে বাংলার গায়ে হাত দিয়ে দেখান। ১ কোটি কেন? দু'জনের গায়ে হাত দিয়ে দেখান।


তিনি থাকতে বাংলায় কোনওমতে এনআরসি চালু হবে না বলেও হুঙ্কার দেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয় দলমত নির্বিশেষে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর আবেদনও করেছেন। তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, রাজ্যে সিপিএমের অস্তিত্ব নেই। কংগ্রেসেরও অস্তিত্ব নেই। টাকা ও এজেন্সির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে শুধু তৃণমূল। বাংলায় আমি যতদিন বেঁচে আছি ক্ষমতা থাকলে এনআরসি করো। চারটে প্রজন্ম তৈরি করে রেখেছি। আমার পরেও লড়াই জারি থাকবে। আমার এখানে দমদম আছে। তুমি দমদমা আলুরদম দেবে তো আমরা আন্দোলনে জবাব দেব।


আরও পড়ুন- ওনাকে বেঁচে থাকতে রাজ্যে এনআরসি দেখে যেতে হবে, মমতার চ্যালেঞ্জের পাল্টা দিলীপের