প্রবীর চক্রবর্তী: 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা'। বিবিসি দফতরে আয়কর হানায় কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। যদি বেআইনি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে চিঠি দিতে পারত, কথা বলতে পারত'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গুজরাট হিংসা ও মোদীকে নিয়ে তথ্য বানিয়ে বিতর্কে বিবিসি। দিল্লি ও মুম্বইয়ে ‘ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’-র অফিসে এবার আয়কর হানা। রাতভর তল্লাশি চলল সংবাদ সংস্থার অফিসে। তল্লাশি চলাকালীন বিবিসি কর্মীদের বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এমনকী, অফিসে ঢুকতে বা বেরোতেও দেওয়া হয়নি কাউকে!


কেন? আয়কর দফতরের দাবি, আন্তজার্তিক আয়করের ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের নিয়ম মানছে না বিবিসি! গত কয়েক মাসে একাধিক নোটিশ পাঠিয়ে সংস্থা মুনাফা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্য জানায়নি বিবিসি। 


এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেন বিবিসিকে নিশানা করল? আমি বেআইনি কিছু সমর্থন করছি না। কিন্তু বিশ্বাস করি না যে, বিবিসি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু করছে, সেকারণেই রাতারাতি এভাবে অভিযান শুরু করল। এটা কাম্য নয়। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। বিজেপি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মাধ্যমে সরকার চালাচ্ছে। একটাই মতবাদ, স্বৈরাচার! ওরা হিটলারের থেকেও বেশি'।


আরও পড়ুন: Fake MLA: ভুয়ো আইএএস, সিবিআই অফিসারের পর এবার বিধানসভাতেই ভুয়ো বিধায়ক!


এদিকে বিবিসির দফতরের হানা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘ভারতে বিবিসির দপ্তরে আয়কর হানার ব্যাপারে আমরা অবগত। তবে আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনও মতামত দেওয়ার জায়গায় নেই। আমরা ভারত সরকারের সংস্থার কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাইব'।  প্রাইস আরও জানান, 'আমরা এই বিষয়ের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখছি এবং সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়েও নজর থাকবে।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)