জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বিধায়ক মোশারফ হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে এই ব্যাপারে কোনও আলোচনা করা হয়নি। ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র গত অগাস্ট মাসে বিলটি সংসদে পেশ করে। এটি আইনে পরিণত হলে ওয়াকফ সম্পত্তি ধংস হয়ে যাবে। বেশ কয়েকবার এই আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। আমি মনে করি এই বিলটা আনার আগে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। আমাদের সাংসদরা এটার বিরোধিতা করেছিল। সরকার বাধ্য হয়ে একটি জেপিসি গঠন করে।‌ সেখানেও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতা বলেন, এই বিল আনার উদ্দেশ্য সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে ইচ্ছাকৃত অপমান করার চেষ্টা। এই বিলটির মাধ্যমে ২৬ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ও ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকারকে লঙ্ঘিত করা হয়েছে। এই কারণে আমরা এই বিলটির কঠোর প্রতিবাদ করছি। এই বিল এইভাবে নিয়ে এসে রাজ্য বিধানসভাকেও অপমান করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের এই বিল অ্যান্টি ফেডারেল স্ট্রাকচার। ওয়াকফ প্রপার্টিতে শুধু মুসলিম সম্প্রদায় দান করেন না, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও দান করেন যাতে সেই সম্পত্তি সাধারণ মানুষের কাজে লাগে। ওয়াকফ প্রপার্টিতে আমরা ইন্টারফেয়ার করি না। আমাদের সময় কোনো ওয়াকফ প্রপার্টি দখল করা হয়নি। যা হ‌ওয়ার তা আগেই হয়েছে। মুসলিমদের কোনও অধিকার কেড়ে নেওয়াটা আমি সমর্থন করতে পারি না।


নওশাদ সিদ্দিকির প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখানে ওয়াকফ সম্পত্তি দেখাশোনা করেন মোতোওয়ালিরা। একইসঙ্গে মমতা আরও বলেন, যদি কোনও ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার হয় আমরা সেটাকে নিন্দা করি।‌ নাম না করে বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও বলেন, অন্য দেশেও যদি কোনও ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার করা হয় তাহলে আমরা সেটাকেও সমর্থন করিনা। পাশাপাশি জানান, আমি এখানকার ইসকনের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার সরকারের পলিসি হল অন্য দেশের ব্যাপার হলে আমরা কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে থাকব।


আরও পড়ুন, TMC: তৃণমূলে 'বড়' রদবদল! বাদ পড়লেন এরা, নতুন মুখ...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)