নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়লা সেক্টরে ১০০ শতাংশ FDI-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, "১৯৭৩ সালে কয়লাক্ষেত্র জাতীয়করণ করা হয়। কয়লা আমাদের জাতীয় সম্পত্তি। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে না FDI আসবে, না এমন কোনও টেকনোলজি আসবে, যা আমাদের কাছে নেই।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়লা ক্ষেত্রে একশ শতাংশ বৈদেশিক বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। একইসঙ্গে কোল ইন্ডিয়ার সদর দফতর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এই দুয়েরই প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, কয়লা ক্ষেত্রে বাণিজ্যকরণ বা ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ প্রধানমন্ত্রীর 'আত্মনির্ভর ভারত' সংকল্পের পরিপন্থী। কয়লা ক্ষেত্র ভারতের ঐতিহ্য ও গৌরবময় সংস্কৃতির অঙ্গ। 


তিনি লিখেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা উৎপাদক দেশ ভারত। তারমধ্যে ভারতের পূর্বাঞ্চলে সর্বাধিক কয়লা উৎপাদন হয়ে থাকে। কয়লা উৎপাদনে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকার লভ্যাংশ রয়েছে কোল ইন্ডিয়ার। তাদের কাছে থাকা লাভের অংশ ৩১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ফলে সেই কয়লা উৎপাদন ক্ষেত্রে বাণিজ্যকরণ বা ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ দেশের সামগ্রিক কয়লা ক্ষেত্রকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেওয়ার সামিল বলে চিঠিতে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের স্বার্থবিরোধী। একইসঙ্গে করোনা আবহে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের মধ্যে কীভাবে কোল ইন্ডিয়ার কর্মচারীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে, সে নিয়েও সওয়াল করেছেন তিনি। এরফলে কোল ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত শতাধিক কন্ট্রাকচুয়াল লেবার কাজ হারাবেন। এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। তাই চিঠিতে দ্রুত এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশের দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন, লকডাউনে ৩ মাস ধরে আটকে টাকা, ভাতা পাননি মন্ত্রী-বিধায়করা!