কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রবল বাম জমানায় ব্রিগেডের মঞ্চে মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব কংগ্রেস নেত্রী হিসেবে তাঁর ব্রিগেড সমাবেশে জনজোয়ার দেখেছিল শহর। সময় বদলেছে। নবান্নের তখতে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর লড়াই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে। আরও একটা ব্রিগেডের আগে বিজেপির মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 



এদিন ব্রিগেডের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''আমি প্রথমে বামেদের বিরুদ্ধে মৃত্যুঘণ্টার সভা করেছিলাম ওঠা ঐতিহাসিক ছিল। এবার অন্য নেতারা সিদ্ধান্ত নিক। নিজের মতামত চাপাব না''।



বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আর ফিরবে না বলে নিশ্চিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কংগ্রেস কত পাবে জানি না, বিজেপি ১২৫টির বেশি আসন পাবে না। ওটা পেলেই যথেষ্ট। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, আঞ্চলিক দলগুলিই আসন্ন লোকসভা ভোটে নির্ধারক হয়ে উঠবে। 


আরও পড়ুন- ট্রেনে আচমকাই পিরিয়ড মহিলার, বন্ধুর টুইট দেখে স্যানিটারি ন্যাপকিন পাঠাল রেল


জয়প্রকাশ নারায়ণের আগে জ্যোতি বসু ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ করেছিলেন বলেও দাবি করেন মমতা। বলে রাখি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডের সভায় দেখা যেতে চলেছে এক ঝাঁক সর্বভারতীয় নেতানেত্রী। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসতে চলেছেন অখিলেশ যাদব, তবে মায়াবতী আসছেন না। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাচ্ছেন সতীশ মিশ্রকে। প্রদেশ কংগ্রেসের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই ব্রিগেডে মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সনিয়া-রাহুল। 


আরও পড়ুন- অবিশ্বাস্য ভারত, মহাকাশ থেকে ইসরোর তোলা কুম্ভের ছবিতে ধর্মের সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধন


মমতার বক্তব্যের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ,''এটা সার্কাস। গেগাং আপাংদের কে চেনে? রিটায়ার, রিজেক্টেডদের নিয়ে শো করছেন। একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন। পঞ্চায়েত ভোটে দেখেছি। ভোট করতে দিলেন না। স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বোঝা যেত। ভয় পেয়েছেন উনি''।