Mamata Banerjee: `আইসি কি ঘুমোচ্ছিলেন`? দত্তপুকুর বিস্ফোরণে পুলিসের ভূমিকায় প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর
দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মৃত বেড়ে ৯। ফের ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম। নমুনা সংগ্রহ করলেন NIA-র আধিকারিকরাও।
সুতপা সেন: 'আইসি কি ঘুমোচ্ছিলেন'? দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাঁর প্রশ্ন, , 'এতবার বলা সত্ত্বেও কেন নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না'? শুধু তাই নয়, আর বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন মন্ত্রীদেরও। সূত্রের খবর তেমনই।
আরও পড়ুন: Duttapukur Blast Suvendu Adhikari: 'পুলিস এখান থেকে মালকড়ি তুলত', দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলে শুভেন্দু
ব্যবধান মাস তিনেক। ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ! এগরার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল দত্তপুকুরে। বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৯। নীলগঞ্জ থেকে গ্রেফতার সফিকুল ইসলাম। মূল অভিযুক্ত কেরামতের 'পার্টনার' হিসেবে পরিচিত ছিল সে।
এদিকে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলিসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সব জেনেশুনেও চুপ ছিল পুলিস। বারবার অভিযোগ, এমনকী স্মারকলিপি দেওয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কেন? কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ সাসপেন্ড করা হয়েছে নীলগঞ্জ আউটপোস্টের ওসিকে। নজরে নজরে দত্তপুকর থানার আইসির ভূমিকাও।
স্রেফ মুখ্যমন্ত্রীই নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের সমাবেশ থেকে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলিসকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, 'কেউ কোনও বেআইনি কাজ করছে। পুলিস চোখ বুজে দেখছে। 'লোকাল থানাগুলিতে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা কে কী করছেন, সেটা আমি আর বললাম না'! মমতার অবশ্য় দাবি, 'সব পুলিস নয়'।
আরও পড়ুন: Duttapukur Blast: কর্তব্যে গাফিলতি, দত্তপুকুরকাণ্ডে সাসপেন্ড ওসি, নজরে আইসি-ও!
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'আমি যেমন Anti-Ragging কমিটি করেছি। সেরকম অ্যান্টি-কোরাপসন সেলও তৈরি করেছি। মনে রাখবেন। নজর রাখছি, কে কী করছে না করছে। মানুষ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় যাবে, আপনার আইন থাকলে নিশ্চয়ই আপনাকে টাকা দেবে, লাইসেন্স দেবে। কিন্ত আইন যদি না থাকে, তাহলে আপনি নিজে কেন টাকাটা নেবেন? সব বেআইনি কাজের পিছনেই আছে বেশি লোভ।' এদিন টিএমসিপি-র সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার সবুজ বাজির পক্ষে সওয়াল করেন। বলেন, 'আমরা সবুজ বাজির কারখানা করেছি। ফায়ার ক্র্যাকার নয়, সবুজ বাজি তৈরি করুন। কারণ বাজি শিল্পে লক্ষ লক্ষ পরিবার জড়়িয়ে। তাই তাদের জীবিকাটা বেঁচে থাকুক। এতে রোজগার হয়তো একটু কম হবে। কিন্তু জীবনটা তো বাঁচবে'।