`কেউ কেউ উসকাচ্ছে, প্ররোচিত হবেন না, আমাদের শান্তিতে কাজটা করতে দিন`
এটা বিপর্যয়। এটা সরকারের হাতে নেই। সবকিছু স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : "এটা রাজনীতি করার সময় নয়। ১৯৩৭ সালের পর এটা বাংলায় সর্ববৃহৎ বিপর্যয়। এইসময় মানুষজনকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য কেউ কেউ উসকাচ্ছে। আমি জনগণকে অনুরোধ করব, কারোও কথায় প্ররোচিত হয়ে রাস্তায় নামবেন না।" আকশপথে কাকদ্বীপ পরিদর্শনে যাওয়ার আগে ঠিক এইভাবেই নাম না করে দিলীপ ঘোষকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বারুইপুরে যাওয়ার পথে ঢালাই ব্রিজে দিলীপ ঘোষের কনভয় আটকায় পুলিস। এরপর দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে রাখেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা জমায়েত করেন তৃণমূল কর্মীরাও। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন জখম হন। এই ঘটনায় আমফানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, অর্জুন সিং, সায়ন্তন বসু প্রমুখ বিজেপি নেতৃত্ববৃন্দ। কাকদ্বীপ উড়ে যাওয়ার আগে যার জবাব দেন তৃণমূল নেত্রী।
মমতা বলেন, "কলকাতায় কোনও পাওয়ার কাট হয়নি। এটা বিপর্যয়। এটা সরকারের হাতে নেই। নবান্নেও টেলি পরিষেবার খুব বাজে অবস্থা। কিছুই কাজ করছে না। সবকিছু স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে। জেলায় জেলায় প্রচুর ঘরবাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, কারও কথায় প্ররোচিত হয়ে রাস্তায় নামবেন না। আমাদের শান্তিতে আমাদের কাজটা করতে দিন।"
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "কলকাতা পুরসভার কমিশনারকে কাল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিশনার নিযুক্ত করা হয়েছে। ওদিকে বিমান চালু হচ্ছে। ট্রেন চালু হয়েছে। দুদিকেই লাখ লাখ মানুষকে এখন আমাদের সামলাতে হবে। আমফানে বাংলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০০ কোটির অনেক বেশি। আমাদের গোটা পরিস্থিতিটাকেই মোকাবিলা করতে হবে। নতুন করে সবকিছু গড়ে তুলতে হবে।"
আরও পড়ুন, আমফান বিধ্বস্ত বারুইপুরে যেতে 'বাধা' দিলীপকে, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে একাধিক জখম