নিজস্ব প্রতিবেদন:''আমি বিশ্বাস করি, অফিসাররা কেউ খারাপ নন। খারাপ নন কর্মীরাও।'' বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে তাঁর উষ্মা, প্রতিবছরই বাঁধ সারানো হচ্ছে। আর জলে ভেঙে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। নবান্নে সেচ দফতরের সঙ্গে বৈঠকে মমতা সরকারি আধিকারিকদের তারিফ করে প্রকারন্তরে বিঁধলেন প্রাক্তন দুই সেচমন্ত্রীকে? জল্পনা রাজনৈতিক মহলের।           


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেচ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। পরে শুভেন্দু অধিকারীর হাতে যায় দফতরটি। ভোটের আগে দুজনেই শিবির বদলে নাম লেখান বিজেপিতে (BJP)। ইয়াসের পর মমতার মুখে বারেবারে উঠে এসেছে সেচ দফতরের গাফিলতির কথা। বাঁধ থেকে দিঘার ব্রিজ নির্মাণের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভ গোপন রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনও তিনি বলেন,''প্রতিবছরই বাঁধ সারাচ্ছি। বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। প্রতিবছর হাজার হাজার লক্ষ কোটি জলে চলে যায়, জলকে বাঁধব কীভাবে? জল তো আমায় বেঁধে ফেলছে।'' 


নেতা ঠিক থাকলে কঠিন কাজও উতরে যায় বলে অভিমত মমতার (Mamata Banerjee)। এই বলেও কি দলত্যাগীদের দুষলেন মমতা? মুখ্যমন্ত্রী বললেন,''ইঞ্জিনিয়াররা খুব ভালো কাজ করেন। অনেক সময় টিম লিডার ঠিক না থাকলে ইচ্ছে হলে উপায় হয় না। টিম লিডার ঠিক থাকলে অনেক কঠিন কাজ সম্পূর্ণ হয়। টিম লিডার সৎ হলে অনেক শক্ত কাজ হয়ে যায়।'' পরে তিনি বলেন,''আমি বিশ্বাস করি, অফিসার বা কর্মীরা কেউ খারাপ নন। ইঞ্জিনিয়াররা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেন। তাঁদের মাথায় টাকা তোলার কোনও বোঝা নেই। কেউ তাঁদের মুখ বন্ধ করেও দিতে পারে না।''


বিকল্প পথ ভাবতে হবে বলেও আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মমতা  (Mamata Banerjee)। বলেন,''টাকাটা ভালো ভাবে কাজে লাগাতে হবে। অন্য বিকল্প ভাবতে হবে। ৫ লক্ষ ম্যানগ্রোভ বসিয়েছে বন দফতর। ভারিমাটি কাজ লাগাতে হবে। আমরা একটা প্রকল্প নিয়েছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রকৃতি সহায়। ইট-বালি-চুনের কংক্রিটের সঙ্গে প্রকৃতির দুর্যোগ রুখতে প্রকৃতিকে কাজে লাগাতে হবে।'' 


আরও পড়ুন- ফ্রি টিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন নবীনের, চিঠি বিজয়নের, সম্মতি Mamata-র