জাগো বাংলা একটা না দুটো বিজ্ঞাপন নিয়েছে, রোজ বিব্রত করছে,সারদা-যোগ নিয়ে মমতা
অতিসম্প্রতি জাগো বাংলায় লেনদেনের বিষয়ে জানতে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও`ব্রায়েনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে 'জাগো বাংলা' নাম। জাগো বাংলার উত্সব সংখ্যার প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে এনিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ''একটা না দুটো বিজ্ঞাপন নিয়েছে, সে কারণে রোজ বিব্রত করছে।''
অতিসম্প্রতি জাগো বাংলায় লেনদেনের বিষয়ে জানতে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সারদার অ্যাকাউন্ট তৃণমূলের মুখপত্রে কীভাবে গেল? তা ডেরেকের কাছে জানতে চাওয়া হয় বলে খবর। এনিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার, মহালয়ার দিন নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার উতসব সংখ্যা প্রকাশ করেন দলনেত্রী। সেখানে তিনি বলেন,''সিপিএমের পার্টির কাগজ গণশক্তি সরকারি বিজ্ঞাপনে চলত। আমি গর্ব করে বলতে পারি, গত ৮ বছরে একটাও সরকারি বিজ্ঞাপন দিতে দিই না জাগো বাংলায়। একটা আদর্শ মেনে চলি। কোথাও একটা না দুটো বিজ্ঞাপন নিয়েছে, তা নিয়ে রোজ জাগো বাংলাকে বিব্রত করা হয়।''
মমতা আরও বলেন,''বিরোধী যখন ছিলাম, পার্থ দা আর আমি মিলে জাগো বাংলা শুরু করেছিলাম। এটাকে প্রাত্যহিক করব। সব আস্তে আস্তে হবে। সবাই বিনা পয়সায় লেখেন। নিজের মতো করে লেখেন। অনেককে বলতে শুনেছি, জাগো বাংলা কাগজটা ভালো লাগে। এটা অন্য বিরোধী দলের মতো কুত্সা করে না। দেখলেই ভক্তি হয়। এটা বেঁচে থাকবে ঐতিহ্যের সঙ্গে।''
বলে রাখি, সারদার মোটা টাকা তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'-র অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই টাকা কোথায় গেল তা জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডেরেকের কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা। সেই সময় 'জাগো বাংলা'-র সম্পাদক ছিলেন সুব্রত বক্সি। প্রকাশক ছিলেন ডেকের। জাগো বাংলার অ্যাকাউন্টে লেনদেনের যাবতীয় নথি তাঁকে জমা দিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- 'জাগো বাংলা'-র অ্যাকাউন্টে কেন সারদার টাকা? জানতে ডেরেককে জেরা CBI-এর