নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকার ফেলে দিলেও, NRC-CAA-র বিরোধিতার পথ থেকে সরবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলেও, তাকে এখনও CAB-ই বলবেন তৃণমূল নেত্রী। CAB-কে CAA বলতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই প্রসঙ্গে এদিন জোড়াসাঁকোর জনসভায় কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর 'ধমক'-এর মুখেও পড়লেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এদিন পদযাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুরে ধর্মতলার বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল করে জোড়াসাঁকো পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছে নিজে বক্তব্য রাখার আগে ডেকে নেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিল্লিতে এনআরসির বিরোধিতায় তৃণমূলের বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য প্রশংসা করেন উত্তর কলকাতার সাংসদকে। কিন্তু বক্তব্য শুরুর পরই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় আপত্তি জানান তৃণমূল নেত্রী।


সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, "সিএবি যেটা এখন রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর সিএএ হয়েছে..." তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে দাঁড়িয়েই স্পষ্ট বলেন, "না না সিএএ বলবেন না। ওই সই আমরা মানি না। সিএবি বলুন।" সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এরপরও রাষ্ট্রপতির সইয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গেলে, তৃণমূল নেত্রী আবারও তাঁকে বলেন, "এসব বলবেন না। আপনি আপনার দলের মতাদর্শের কথা বলুন।"


আরও পড়ুন, তলবের পরই সহযোগিতা চেয়ে ধনকড়কে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, পাল্টা জবাব রাজ্যপালের


কোনওভাবেই যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে তিনি মানবেন না, বাংলায় এনআরসি হতে দেবেন না, এদিনের সভা থেকে আরও একবার ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  হুঁশিয়ারি দেন, "বিজেপি ক্ষমতায় এসে নিজেকে আকাশের থেকে বড় ভাবছে। সূর্য, চাঁদ সবার থেকে বড় ভাবছে। সবকা সাথ নেহি রহেগা তো সবকা বিকাশ ক্যায়সে হোগা? সিএবি-এআরসি ললিপপের এপিঠ-ওপিঠ। প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে এনআরসি ও ক্যাব করতে হবে।"