নিজস্ব প্রতিবেদন : "কলকাতার নেতাদের বলছি, তাঁরা এদিকে ওদিকে মুখ খুলছেন। তাঁরা চাইলে দল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন।" দলীয় বিধায়ক ও নেতৃত্বের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে নাম না করে এভাবেই মন্ত্রী সাধন পান্ডেকে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, 'দলবিরোধী' মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন মন্ত্রী সাধন পান্ডে। আজকে দলনেত্রীর এই মন্তব্য তাঁর জন্য সতর্কবার্তা বলেই মনে করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও নির্দেশ দেন, "রাজ্য কমিটির অনুমোদন ছাড়া জেলা সভাপতিরা কোনও সাংগঠনিক রদবদল করতে পারবেন না। যে কোনও রদবদল করতে হলে তা আগে রাজ্য কমিটিকে জানাতে হবে এবং তাদের অনুমতি নিয়েই সেই বদল করা যাবে। সভাপতি এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।"


পাশাপাশি এদিন বৈঠকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সভাপতি করা হয়েছে সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁকে ব্যারাকপুরের 'হাল' ধরার নির্দেশ বলেন। মমতা বলেন, "দীনেশদা আপনি এখনও ব্যারাকপুরের সাংসদ সদস্য। আপনি ওখানে গিয়ে সাংগঠনিক হাল ধরুন। ওখানে বিজেপি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাচ্ছে। রোজ অশান্তি হচ্ছে। আপনাকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।" প্রসঙ্গত, এতদিন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন নির্মল ঘোষ। 


পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে সরিয়ে এবার লোকসভা কেন্দ্রের সভাপতি হলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর সঙ্গে আরও ১০ জন নেতাকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ১১ জনের এই কমিটি এবার থেকে ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকার কাজকর্ম দেখাশোনা করবেন। এদিন বৈঠকে বসিরহাটের সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বসিরহাট জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, 'সবাই যেন সমানভাবে ত্রাণ-রেশন পায়, দলবাজি করলে দল পাশে থাকবে না'