নিজস্ব প্রতিবেদন : পাখির চোখ পুরভোট। ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ফুল মার্কস নিয়ে পাসের পর এখন লক্ষ্য পুরভোট। হাতে আর বেশি সময় নেই। চলছে শেষ মুহূ্র্তের রণনীতি নির্ধারণের পালা। এরইমধ্যে আজ তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসে শাসকদল নেতৃত্ব। সেখানেই পুরভোটে টিকিট পাওয়া নিয়ে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর বৈঠকে মমতা বলেন, "পুরসভা নির্বাচনে দল প্রার্থী ঠিক করবে। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে কেউ যেন বিবাদ না করে। সেটা আপনারা দেখে নেবেন। বোঝাবেন যে দলে সবাই আমরা কর্মী।" বৈঠকে জেলা সভাপতি ও পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো একথা বলেন বলে খবর। সূত্রের খবর, এরপরই নাম না করে বিজেপিকে উদ্দেশ করে মমতা আরও বলেন, "এই নিয়ে কেউ কেউ অনেক চেষ্টা করবে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করে দেওয়ার। ওদের কথায় লাফাবেন না। আমরা সবাই দলের কর্মী। সবাই দলকে ভালবাসি। তাই দলের সিদ্ধান্ত সকলকেই মানতে হবে।"


পুর নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণ করতেই আজ তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসে শাসকদল। সেখানে দলের কাজ থেকে পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি সবকিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে স্থির হয়, সিএএ-র বিরোধিতায় ৫ ফেব্রুয়ারি সব ব্লকে মানব বন্ধন করা হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি বুকে প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে মৌন মিছিল করবেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তারপর ৭ ফেব্রুয়ারি হবে স্ট্রিট কর্নার। ৮ তারিখে হবে বুথে বুথে মিটিং।


আরও পড়ুন, মাটি হবে প্রেম, বৃষ্টি ভাসাবে সরস্বতী পুজো? পূর্বাভাসে অশনিসংকেত


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের দক্ষিণ থেকে উত্তরে একের পর এক পদযাত্রা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। কোনওভাবেই বাংলায় সিএএ, এনআরসি লাগু হতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। সেই আন্দোলনের পথ থেকে তৃণমূল যে একচুল সরবে না, সিএএ বিরোধিতাকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল যে পুরভোটের যুদ্ধে ঝাঁপাবে, আজকের বৈঠকের পর তা একপ্রকার জলের মতো স্পষ্ট।