নিজস্ব প্রতিবেদন : চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের রূপরেখা নির্ধারণ, গালোয়ান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসী মনোভাব, লাদাখে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানদের শহিদ হয়ে যাওয়া, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবারের সেই বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নবান্নের তরফে আজ একথা জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাদাখে ভারত-চিন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মোদীর ডাকা সর্বদল বৈঠককে স্বাগত জানান তিনি। বলেন, "দেশকে কেউ আঘাত করুক চাইনা। কেউ আক্রমণ করুন চাই না। সবসময়ই চাই দেশ আগে বাড়ুক। সোমবার রাতে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় আগ্রাসনের চেষ্টা করে চিনা বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গেই যার জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। 


লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় 'ভয়ঙ্কর' সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। সংঘর্ষ থামলেও, এখনও গালোয়ান উপত্যকা থেকে সেনা সরায়নি চিন। একইসঙ্গে দু'দেশ একে অপরের উপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরির কৌশল নিয়েছে। এই পরিস্থিতি শুক্রবারের সর্বদল বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, সম্ভবত তার আভাস মিলতে চলেছে আগামিকালের বৈঠক থেকে।


তবে একদিকে চিন প্রসঙ্গে আগামিকালের সর্বদলের বৈঠকে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিচ্ছেন, তখন অন্যদিকে করোনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বক্তার তালিকায় তাঁর নাম না থাকা প্রসঙ্গে উস্কে উঠেছে বিতর্ক। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তোপ দেগেছেন, 'ওনাকে ডাকা হলেও তো উনি যান না! ওনার কিছু বলার থাকে না! তাই নাম নেই।' মুখ্যমন্ত্রী আবার ওই বৈঠক প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেছেন, "ওদের তো বড় বড় ব‍্যাপার নিয়ে মিটিং। আর আমি তৃণমূল স্তরের মানুষের জন‍্য বৈঠক করলাম। তাদের কথা তো আমাদের ভাবতে হবে। আমি মনে করি এটা বেশি ভালো কাজ।ওরা মনে করেছে তাই ডাকেনি। একদিন তো এমন হতে পারে যে বাংলা-ই সবাইকে ডাকবে।"


আরও পড়ুন, 'ভারতই স্বভূমি', পেশার সঙ্কট বুকে চেপেই চিনকে জবাব দেওয়ার ডাক তুললেন ট্যাংড়ার চিনা পরিবাররা!