`সবাই যেন মিষ্টি থাকে`, রাজ্যবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
রীতি অনুযায়ী, দশমী পুজোর পর দর্পণে হয় দেবীর নিরঞ্জন। দর্পণে প্রতিমা নিরঞ্জন সম্পন্ন হলেই, শুরু হয়ে যায় শুভ বিজয়ার প্রীতি-শুভেচ্ছা জানানোর পালা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দশমীতে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এক ভিডিয়ো বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের সকলকেই জানাই শুভ বিজয়া, দসেরা। বিশেষ করে মাতৃপুজোর আরাধনা। নিশ্চয়ই দশমীতে আমাদের মনখারাপ হয়। কিন্তু মা আবার আসবেন বলে, আমরা উৎসাহিতও হই। এটা মা-র চলে যাওয়া নয়। মা আমাদের হৃদয়ের মধ্যেই থাকেন। তাই মিষ্টিমুখে একটাই চাওয়া, সবাই যেন মিষ্টি থাকে। সবাই যেন ভালো থাকে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা সবাইকে।'
রীতি অনুযায়ী, দর্পণে হয় দেবীর নিরঞ্জন। দর্পণে প্রতিমা নিরঞ্জন হলেই, শুরু হয়ে যায় শুভ বিজয়ার প্রীতি-শুভেচ্ছা জানানোর পালা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর ঘরের মেয়ে উমা কৈলাসে ফিরে যাওয়ার আগে শিব-ঘরণীকে বরণ করে নেন মেয়ে-বউরা। তারপরই একে অপরের সঙ্গে মেতে ওঠেন সিঁদুরখেলায়। দশমীতে সিঁদুরখেলা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে। এরপর হয় প্রতিমার কাঠামোর আনুষ্ঠানিক বিসর্জন। তারপরই কোলাকুলি থেকে মিষ্টিমুখ, চলতে থাকে।
প্রসঙ্গত, উত্তর থেকে দক্ষিণ। নবমীর সন্ধ্যা থেকে রাত, অধিকাংশ পুজোতেই মানুষের বাঁধনছাড়া উত্সাহ, থিকথিকে ভিড় দেখা যায় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। ভিড়ে একে অপরকে টেক্কা দেয় সাবেকিয়ানা ও থিম পুজো। যেন ভিড়ের লড়াই। বৃষ্টির চোখরাঙানি ভুলে রাস্তায় নেমে পড়ে বাঙালি। বিকেল থেকেই জনজোয়ার। পায়ে হেঁটে মানুষ ঠাকুর দেখছেন বটে তবে এক মুহূর্তের জন্য হাঁটার গতি কমানোর কোনও সুয়োগ নেই। তাহলেই পেছন থেকে ধাক্কা। বৃষ্ঠি বা বৃষ্টির ভ্রুকুটি মানুষকে আটকাতে পারেনি।
পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা