নিজস্ব প্রতিবেদন: দোসরা মে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার পর থেকে এ পর্যন্ত বিবিধ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) ৯টি পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর তো দূর অথচ একটারও প্রাপ্তি স্বীকার করেনি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। এনিয়ে নবান্ন যারপরনাই ক্ষুব্ধ বলে সূত্রের খবর।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


৫ মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে টিকা, রেমডিসিভির ও কোভিডের পথ্য, অক্সিজেন ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের জোগান নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী  (Mamata Banerjee)। পরের দিন আর একটি চিঠি দেন। তার বিষয় ছিল, প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় বকেয়া টাকা মেটানো। অক্সিজেন জোগানের দাবিতে ৭ মে দিয়েছিলেন আর একটি চিঠি। মুখ্যমন্ত্রীর পরের চিঠি ৯ মে, বিষয়- অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারকে সাহায্য করার জন্য অক্সিজেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, কনসেনট্রেটর, ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্ক ও ওষুধ দিতে চাইছে। ওই সব জিনিসের উপরে কর প্রত্যাহার করা হোক। 


টিকার ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে টিকা আমদানির পরামর্শ দিয়ে ১২ মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। ওই টিকাতে রাজ্যে টিকা কারখানার জন্য জমি দেওয়ার প্রস্তাবও দেন। ১৪ মে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, রাজ্যের হাসপাতালগুলির জন্য টালবাহানার পর ৭০টি অক্সিজেন প্লান্ট বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এসেছে ৪টি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান মমতা। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অবিলম্বে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি তুল ২০ মে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য কমপক্ষে ২০ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।


৩১ মে-র চিঠিতে দুটি বিষয় উল্লেখ করেন মমতা (Mamata Banerjee)। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। লেখেন, এটা আইনবিরোধী ও নজিরবিহীন। অসাংবিধানিকভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে এই বদলি করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি করেন মমতা। চিঠির দ্বিতীয় অংশে ২৮ মে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিয়ে সবিস্তার লিখেছেন তিনি।


শেষ চিঠি ২৪ জুন। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) লেখেন, 'কোভ্যাক্সিন টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়নি। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশে পড়তে যাওয়া পড়ুয়ারা। কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে তৎপর হোন প্রধানমন্ত্রী।' 


৫ মে থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত মোট ৯টি চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্ন সূত্রের খবর, একটাও চিঠির উত্তর আসেনি। এমনকি প্রাপ্তি স্বীকারও করেনি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। কেন্দ্রের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। তৃণমূল সূত্রের খবর, ভোটে হারে মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী এতবার রাজ্যে এসেও ১০০ আসন পেরোতে পারেনি তারা। সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে প্রশাসনিক কাজকর্মে। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভোট রাজনীতি। যেটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। অথচ সেটাই করে চলেছে কেন্দ্রের শাসক দল। 


আরও পড়ুন- 'ঘরে' ফেরার পর পদ্মে ভাঙন ধরাতে রবি-প্রাতে নিজের কেন্দ্রে Mukul


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)