নিজস্ব প্রতিবেদন: বিভিন্ন বিষয় কলম, তুলিতে জীবন্ত করে তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ-এনআরসি-র প্রতিবাদে তুলির টান দিয়েছিলেন ক্যানভাসে। এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লিখলেন কবিতা। সেখানে সরকারি আমলার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়েও নিজের মনের কথা লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সরকারি উচ্চপদস্থ আমলার ভূমিকা নিয়ে গতকাল, বুধবার বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন,''উপসর্গ নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো ঘুরে বেড়ালেন। এর চেয়ে অবিবেচকের কাজ কিছু হতে পারে না। একটা জায়গা থেকে আসছি, সেখানে রোগের প্রার্দুভাব বেশি। আমি কেন নিজেকে আইসোলেট করে রাখব না? ভিভিআইপি থেকে এলএলআইপি সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ডাক্তার বলা সত্ত্বেও দেরি করেছে। এখানে ওখানে ঘুরে বেরিয়েছে, তার মানে কত লোকের সংস্পর্শে এসেছে। বন্যা হলে সবার বাড়িতে জল ঢোকে।''এদিন কবিতাতেও নাম করে বিঁধেছেন উচ্চশিক্ষিত ওই আমলাকে। 'করোনা' শীর্ষক কবিতায় মমতা লিখেছেন, 


আতঙ্কিত!
আতঙ্কতঙ্কে
সামাজিক জগত।
করোনা কারও নয়,
সীমান্ত প্রাচীরে।
রোগটা নাকি বড্ড ভারী!
'আমদানি' চলছে-
দেশে-বিদেশে।
গরীব মানুষগুলো
সমাজে খুব সচেতন।
কিন্তু যাদের সচেতনতা
এ সমাজকে আক্রান্ত করার
হাত থেকে বাঁচাতে পারতো,
তারা কি সচেতন? 
না, সব জেনেও
'যাক না জগতটা উচ্ছন্নে'-  
এই ভাব কিছু দামীদের। 
নিজের ভালো ছাড়া
আর কিছু বোঝে না যারা।
ইবোলা-এবেলা-মার্স-সার্স
ডেঙ্গু-সোয়াইন ফ্লু!
সব হয়ে গেছে
কমজোরি-
করোনা করেছে গাঁ-উজাড়ি
ওটা নাকি বড্ড ভারী। 



বলে রাখি, করোনায় আক্রান্ত ওই তরুণ ভর্তি বেলেঘাটা হাসপাতালে। মা, বাবা ও গাড়ির চালককে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। তাঁদের শরীর থেকে সাতটি নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় SSKM ও NICED-এ(National Institute of Cholera and Enteric Diseases)। এসএসকেএমে পাঠানো হয়েছিল ২টি। নাইসেডে ( National Institute of Cholera and Enteric Diseases) ৫টি নমুনার রিপোর্টের মধ্যে চারটিতেই ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। ফলে আপাতত উত্কণ্ঠার কোনও কারণ নেই। তবে এসএসকেএমের দুটি ও নাইসেডের একটি নমুনা রিপোর্ট আসা এখনও বাকি। 


 


আরও পড়ুন- করোনা রুখতে রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা 'জনতা কার্ফু': মোদী