নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, করোনা মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ আদৌ কি নিচ্ছে রাজ্যে সরকার? সঠিক তথ্য কি দেওয়া হচ্ছে? এবার নিজের ফেসবুক পেজে পরিসংখ্যান দিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কারোও শ্বাসকষ্ট রয়েছে কিনা, তা ঘরে ঘরে গিয়ে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। গত এক মাস ধরে চলছে এই প্রক্রিয়া। এদিন নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো অসম্ভব! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও পরিষেবা দিতে নারাজ মালিক সংগঠন
 করোনার বিভিন্ন উপসর্গ, যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি খতিয়ে দেখার জন্য সরকার ইতিমধ্যেই ৬০ হাজার আশাকর্মী নিয়োগ করেছে। তাঁদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও।



 তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে পরীক্ষা করে দেখছেন, তার ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। যদি কারোরও লক্ষণ সন্দেহজনক মনে হয়, সঙ্গে সঙ্গেই কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গত এক মাস ধরে এই কাজ চলছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৭ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত মোট ৫.৫৭ কোটি গৃহস্থের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
 তাঁদের মধ্যে ৮৭২ জনের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল, ও ৯১,৫১৫ জনের ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ। তাঁদের যথাযথ পরামর্শ, চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
৩৭৫ জন বিভিন্ন ইস্যুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ এখনও চলছে। এই প্রক্রিয়ায় সরকার অনেকটাই সাহায্য পেয়েছে বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও যথাযথ রিপোর্ট পেশ করা হচ্ছে না, ভুল পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্ট তাঁদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।